নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে বিষাক্ত মদপানে তিনজনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। স্পিরিট মেশানো বিষাক্ত মদসহ গ্রেফতার পাঁচ মাদক বিক্রেতাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। রোববার রাতে র্যাবের অভিযানে ওই বিক্রেতাদের আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০ দিনের কারাদ- ও ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দ-প্রাপ্তরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার মাছবাজার এলাকার মৃত গৌড় ঘোষের ছেলে মনোরঞ্জন ঘোষ (৬৭), ভায়না ফতেপুর এলাকার আনন্দ বিশ্বাসের ছেলে অসীম বিশ্বাস (৩২), বাঘডাঙ্গা ফতেপুরের নিমাইয়ের ছেলে লিংকন (৩২), ছাতিয়ানতলার পোলাদ আলীর ছেলে ইমতিয়াজ আলী (৫৯) ও বাগডাঙ্গা গ্রামের বিজয় বিশ্বাসের ছেলে প্রশাšত্ম বিশ্বাস (২৯)।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, সম্প্রতি যশোরে বিষাক্ত মদপানে তিনজনের মৃত্যুসহ আরও কয়েকজন অসুস্থতার খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর প্রেড়্গেিত র্যাব-৬ যশোর এর একটি আভিযানিক দল বিষাক্ত মদ বিক্রেতাদের গ্রেফতারে লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরম্ন করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যশোর বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা এলাকায় বিষাক্ত স্পিরিট মিশিয়ে দেশী মদ তৈরি ও বিক্রি করছে মাদক বিক্রেতারা। এই তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি দল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য সরকারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার ও সাড়ে ৭ লিটার স্পিরিট মিশ্রিত বিষাক্ত মদ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেক মাদক বিক্রেতাকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও ৫০০ টাকা করে জরিমানার সাজা প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জব্দ করা বিষাক্ত মদ ধ্বংস ও জরিমানা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দ-প্রাপ্তদের যশোর কারাগারে হ¯ত্মাšত্মর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে রেক্টিফাইড স্পিরিটে তৈরি ‘বিষাক্ত মদ’ পানে মৃত্যু হয় তিনজনের। এরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে ইসলাম (৪৫) ও শাহজাহান আলীর ছেলে জাকির হোসেন (২৯) ও আবু বক্কর মোলস্নার ছেলে আবুল কাশেম (৫৫)।