নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর আšত্মর্জাতিক নাট্য উৎসবের সমাপনী দিন সোমবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৩) মহাকবি মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মদিন উপলক্ষে নিবেদিত হল ‘কহে বিরঙ্গনা’।
মহাকবি মধুসূদন দত্তের রচিত বীরাঙ্গনা কাব্যের শকুšত্মলা, দ্রৌপদী, দুঃশলা ও জনা-এই চার পৌরাণিক নারীর বিরহ, ঈর্ষা, শাšিত্ম ও বিদ্রোহ তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে; যার মূল কথা উঠে আসে-হিংসা নয়, প্রেমেই মানুষের মুক্তি। মহাভারতের এই চার নারীর স্বামীকে লেখা চিঠিই নাটকের মূল উপজীব্য।
নাটকে বিরঙ্গনা কাব্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে শারীরিক ও বাচিক অভিনয়ের মিশেলে নাটকটি তৈরি করা হয়েছে। নাটকের দৃশ্য থেকে দৃশ্যাšত্মরে অভিনয়ের পাশাপাশি যুক্ত রয়েছে মণিপুরী বাদ্য, তাল ও নৃত্যভঙ্গি।
মণিপুরি থিয়েটারের প্রযোজনায় এ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। এছাড়া নাটকটিতে নৃত্যভঙ্গিতে ছিলেন অরম্নণা সিনহা, শ্যামলী সিনহা, রঞ্জনা সিনহা ও মণিষা সিনহা। সংগীতে শর্মিলা সিনহা। বাদ্যযন্ত্রে বাবু চাঁন সিংহ, বিধান চন্দ্র সিংহ ও অঞ্জনা সিনহা। আলোক প্রক্ষেপণে মো. শাহাজাহান। ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন আপন সিংহ।
আšত্মর্জাতিক নাট্যোৎসব কমিটির সদস্য সচিব কামরম্নল হাসান রিপন বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে যশোরকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই আšত্মর্জাতিক নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে ঢাকার নয়টি এবং যশোর, মৌলভীবাজার ও ভারতের একটি করে মোট ১২টি নাট্যদল নাটক মঞ্চস্থ করেছে।
শুধু নাটক মঞ্চস্থই নয় নাটক বিষয় সেমিনারও করা হয়েছে। দেশের খ্যাতিমান ২৫জন নাট্য অভিনেতা, নির্দেশক ও নাট্যকারকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। আšত্মর্জাতিক নাট্যোৎসবে দর্শকদের বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে। শিল্পকলা মিলনায়তন ভর্তি দর্শক প্রতিদিন মঞ্চের অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয় উপভোগ করেছেন।
গত ১২ জানুয়ারি এ উৎসবের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী দিন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি করে নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। প্রাঙ্গনেমোর ‘হাছন জানের রাজা’, পালাকার ‘উজানে মৃত্যু’ নাট্যম রেপার্টরী ‘কোথায় জলে মরাল চলে’, নাট্যকেন্দ্র ‘পুণ্যাহ’, স্টেইজ ওয়ান ‘শোধ’ মৌলভীবাজারের মনিপুরী থিয়েটার ‘কহে বীরাঙ্গনা’ যশোরের থিয়েটার ক্যানভাস ‘লালসালু’, ভারতের একমাত্র নাট্যদল শাšিত্মপুর সাংস্কৃতিক ‘অংশুপট উপাখ্যান’ এবং শেষ দিনে ‘কহে বিরঙ্গনা’ নাটকটি মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে ১২ দিনব্যাপী যশোর আšত্মর্জাতিক নাট্যোৎসবের পর্দা নামলো।