নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের(২২৭) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মামুনুর রশিদ বাচ্চু সভাপতি এবং মোত্তর্জা হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সভাপতি পদে মামুনুর রশিদ বাচ্চু ২৯৫০ ভোট পান এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহেদ হোসেন জনি ২০৯৫ ভোট পান। সাধারণ সম্পাদক পদে মোর্ত্তজা হোসেন ৪৪৪২ ভোট পান এবং তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল ওয়াদুদ ১৮০৯ ভোট পান।
এছাড়া তিনটি সহসভাপতি রবিউল ইসলাম লবিন, আবু হাসান, রতন অধিকারী, যুগ্ম-সম্পাদক পদে রবিউল ইসলাম মিন্টু গাজী, সহ সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ ফুলু, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু সুলতান, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান মিন্টু, কোষাধ্যক্ষ কামাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, তরিকুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, শহিদুজ্জামান, জাহাঙ্গীর হোসেন জয় লাভ করেছেন।
এবার যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ উৎসবমূখর পরিবেশে শেষ হয়। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যশোর সরকারি সিটি কলেজে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন শেষ হয়। নির্বাচনে আট হাজার ২শ’৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭ হাজার ১শ’ ১৭ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কলেজের ২০০টি বুথে এ ভোট গ্রহণ চলে। ২৪ টি বাক্সে ব্যালট ফেলা হয়।
ভোটগ্রহন শেষে ব্যালট ভর্তি ড্রামগুলো পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের একটি রুমে তালাবদ্ধ করে তা সিলগালা করা হয়। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। সন্ধ্যার আগ মুহুর্তেই ভোট গণনা শেষ হয়। এসময় প্রার্থীদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান মিজু ও সহ সম্পাদক পদে রকিবুল হাসান ডাবলু দাবি করেন গণনা সঠিক হয়নি।
প্রায় দুই হাজার ব্যালট নিয়ে নয়ছয় করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এসময় তাদের সমর্থকরা শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। দু’তলায় ভোট গননার কাজ চলতে থাকে অন্যদিকে নিচতলায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা অফিসে ইট পাটকেল নিক্ষেপের মত ঘটনাও ঘটায়। পরবর্তীতে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। এরই মাঝে সদস্য সচিব পুনরায় ব্যালট গণনা করার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোর্তজা ছোট বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতেই পারেন। বিষয়টি আমরা আমলে নিয়েছি। পুণরায় ব্যালট গণনা করেই ফল ঘোষণা করা হয়েছে।