নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় পরকীয়ার জের ধরে যুবককে হত্যার ঘটনায় তার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রোববার ভোলার দৌলতখান উপজেলার আত্মীয় বাড়ি থেকে তাকে প্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাবু মোড়ল ওরফে কেসমত ওরফে ক্যাসেট বাবু (৩০) ঝিকরগাছা উপজেলার কাটাখাল গ্রামের কাসেম মোড়লের ছেলে। নিহত যুবক তৌফিক হাসান (২২) ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর কারিগর পাড়ার শাহাদৎ হোসেনের ছেলে। তৌফিক স্থানীয় আফিল ফার্ম নামে একটি মুরগির খামারে চাকরি করতেন। তৌফিক গ্রেপ্তার হওয়া বাবু মোড়লের বন্ধু ছিলেন।
সোমবার পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, ২১ জানুয়ারি সকালে ভোলা জেলার দৌলতখান থানাধীন দক্ষিণ জয়নগর গ্রামস্থ তার খালু জয়নাল আবেদীনের বাড়ি থেকে ক্যাসেট বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ক্যাসেট বাবু। তাকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন আরও জানান, নিহত তৌফিক ও আসামি ক্যাসেট ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। বন্ধুত্বের সূত্র ধরে তৌফিক আসামির বাড়িতে অবাধ যাতায়াত করত। একপর্যায়ে তৌফিকের সাথে ক্যাসেট বাবুর স্ত্রী রিয়া খাতুনের ঘনিষ্ট সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের বিষয়টি বাবু জানতে পারে। সন্দেহ করে তৌফিকের সাথে রিয়ার অনৈতিক সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে বাবু ও রিয়ার মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। তখন বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে তৌফিককে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার দিন বাবু মীমাংসার কথা বলে কৌশলে তৌফিককে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম বাবুর বাড়িতে যাওয়ার পর রিয়ার সাথে তৌফিকের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে বাবু ও তৌফিকের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বাবু তার ঘরে থাকা চাকু দিয়ে তৌফিকের পেটে আঘাত করলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
তখন রিয়া তৌফিকের চিকিৎসার জন্য ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তৌফিকের অবস্থায় অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল যশোরে রের্ফাড করে। ভিকটিমকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল যশোরে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় মামলা হয়েছে।