কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে যাওয়ার সময় পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তরা ডুবিয়ে দেয় পুলিশ সদস্যদের বহন করা নৌকা। এতে নিখোঁজ হন পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। তাদের একজন সদরুল হাসানের (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কুঠিবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার এসএম ফিরোজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এসএম ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘কুঠিবাড়ি ঘাট এলাকার পদ্মা নদীর ভাটি থেকে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে এএসআই সদরুল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো দুটি ট্রলারে করে ১১ সদস্যের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।’
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তের হামলায় নিখোঁজ হন পুলিশের দুই এএসআই। উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কুঠিবাড়ি ঘাট এলাকা এ ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন মুকুল হোসেন (৩৭) নামে অপর একজন। এ সময় দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হন আরও তিন জন। তারা হলেন– কুমারখালী থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা, স্থানীয় কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সানোয়ার হোসেন এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন।
কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই এলাকার পদ্মা নদীর ওপারে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের ছয় জন সদস্য নৌকায় করে যাচ্ছিলেন। সেখানকার লোকজনের সঙ্গে গতকাল (রবিবার) দুর্বৃত্তদের মারামারি গণ্ডগোল হয়েছিল নদীতে। তারা মনে করেছে তাদের কোনও প্রতিপক্ষের লোকজন আসছে। হঠাৎ এসে পুলিশের নৌকা ডুবিয়ে দেয়। নৌকাতে আমাদের ৬ জন পুলিশ সদস্য ছিল।’