সমাজের কথা ডেস্ক : পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল-আমিন (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তের সুইডাঙ্গা এলাকার বিপরীতে ভারতের খালপাড়া এলাকায় তিনি মারা যান। আল আমিনের বাড়ি উপজেলার হরিভাষা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র।
বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আল আমিন গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার রাতে তিনিসহ ১০-১৫ জনের একটি দল ভারতীয় সীমান্তে গরু আনতে যান। এ সময় চোরাকারবারিরা বিএসএফকে আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে তারাও গুলি চালায়। তবে অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল আমিন নিহত হয়। পরে বিএসএফ তার লাশ ভারতে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন। বৈঠকে এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত দেয়ার আহ্বান জানান।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা জানান, ভারত ও বাংলাদেশের ১০-১৫ জন চোরাকারবারি বিএসএফকে আক্রমণ করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এদিকে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ওই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।