নেংগুড়াহাট (মনিরামপুর) প্রতিনিধি: মনিরামপুর উপজেলার চালুুয়াহাটি গ্রামের দপ্তরীপাড়ায় নববধূ এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর রহমান শিলা খাতুনকে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাড়ি আসেন। এ দৃশ্য দেখতে শায়লাহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হাজার হাজার নারী-পুরুষের ভিড় হয় হেলিকপ্টার ও নববধূকে এক নজর দেখার জন্যে। আমিনুর ওই এলাকার জানা আলী দপ্তরী ও মনোয়ারা বেগমের ছেলে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।
কয়েক বছর আগে হেলিকপ্টারে পুত্রবধূ ঘরে আনার একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে পিতা-মাতার শখ জাগে তারাও তার ছেলেকে বিয়ে দিয়ে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে ছেলের বউ ঘরে আনবেন। অবশেষে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সেই আশা পূর্ণ হলো তাদের। জানা দপ্তরি ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তারা খুবই খুশি। এদিকে গ্রামে হেলিকপ্টার আসায় ও ওই গ্রামের বধূ এতে চড়ে শ্বশুর বাড়ি এসেছে এ ঘটনায় এলাকার মানুষ খুব খুশি। এ সময় আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ জড় হয় এ দৃশ্য দেখতে। স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষ এত কাছে থেকে কোনোদিন হেলিকপ্টার দেখতে পায়নি। আমিনুরের বিবাহ উপলক্ষে হেলিকপ্টার গ্রামে আসায় গ্রামবাসী আনন্দিত ও গর্বিত। বরের মেঝ ভাই আব্দুর রহমান বলেন,তার ছোট ভাই বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য হেলিকপ্টার করে বউ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসে। এতে একদিকে তার ছোট ভাই বাবা মায়ের স্বপ্নটা পূরণ করেছে অন্যদিকে গ্রামবাসীও হেলিকপ্টার দেখে আনন্দ পেয়েছে।
নব বধূ শিলা বলেন, তার স্বামী বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছে। পাশাপাশি অনেক ভালো লাগছে নতুন এক অভিজ্ঞতায়। গ্রামবাসী আমাদেরকে যেভাবে বরণ করে নেওয়াটাও অনেক উপভোগ করেছি। আমিনুর রহমান জানান, আমরা ৩ ভাই ২ বোন। ছোট ছেলে হিসেবে বাবা মায়ের শখ পূরণ করতে হলো। তাই ঘণ্টায় ১লাখ ৮৫ হাজার টাকা হিসেবে হেলিকপ্টারটি ভাড়া করে স্ত্রীকে ঘরে এনে বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতে পেরেছি। তিনি আরও জানান, সামাজিক নীতি মেনে, শিলার সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বাবা মায়ের সেই শখ পূরণ করতে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে হেলিকপ্টারে চড়ে আসতে হয়েছে।