নেংগুড়াহাট (মনিরামপুর) প্রতিনিধি : মনিরামপুর উপজেলার নেংগুড়াহাট এলাকায় হায়াতপুর—সাহাপুর মাঠে মাচা পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন চাষিরা। এলাকার কৃষক আবু কালাম এই চাষের প্রথিকৃত। প্রথম বছরেই তিনি ৩০ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই লাখ টাকার বেচাকেনা হবে বলে ধারণা করছেন। তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষাবাদ করলে জনবল যেমন কম লাগে তেমনি খরচও কম লাগে। গাছে রোগ—বালাই থেকে মুক্ত থাকে, ফলন বেশি হয়।
চাষি আবু কালাম বলেন, আমি প্রথম বারের মতো মাচা পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। তিনি বলেন, ৪০ শতক জমিতে মাচা পদ্ধতিতে টমেটোর চাষাবাদে সর্বমোট খরচ হয়েছে ৩০হাজার টাকা। জমিতে যেভাবে ফলন এসেছে,তাতে কমপক্ষে ২লাখ ৫০হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো। তিনি আরও জানান, প্রথম বারের মতো সফলতার কারণে আগামী মৌসুমে ২বিঘা জমিতে এই পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ করবেন তিনি।
উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, জমিকে উত্তমরূপে তৈরি করে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে বেড তৈরি করে সেখানে বীজ বপন করতে হয়। তারপর সে বেডগুলি মাচায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হয়।
বীজগুলি থেকে চারা গজানোর পর সে চারা ব্যবহার করে মাচা পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হয়। মাচা পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে জমিতে আগাছা জন্মাতে পারে না। সেচের অতিরিক্ত পানি জমে জমি বিনষ্ট হয় না,অতিরিক্ত সারেরও প্রয়োজন হয় না। ফলন অনেক বেশিহয়, গাছের আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়, কৃষকও সবদিক থেকে লাভবান হন।
কৃষি উপ—সহকারী কর্মকর্তা ফারহানা ফেরদৌস বলেন,এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে অল্প শ্রম আর খরচে অনেক বেশি লাভ হয়। তিনি আশা করেন ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে।