নেংগুড়াহাট (মনিরামপুর) প্রতিনিধি : মনিরামপুর উপজেলার নেংগুড়াহাট এলাকায় বিভিন্ন মাঠে মাঠে এখন ভ’ট্টার হাসি ঝরছে। লকলকে সবুজ গাছ আর দারুণ ফলন দেখে কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে। চালুয়াহাটি ইউনিয়নের পানিছত্র ও মোবারাপুরের মাঠে ভুট্টাক্ষেত অনেকের দৃষ্টি কাড়ছে। নতুন নতুন কৃষক আগামীতে ভ’ট্টা চাষের আশা করছেন।
জানাগেছে এ বছর প্রথম বারের মতো ভ’ট্টা চাষ করেছেন কৃষক সুমন হোসেন ও সবুজ হোসেন। এই দুই কৃষক এক একর ৮০শতক জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন। কৃষক সুমন ও সবুজ বলেন, আবহাওয়া অনুকুলও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বল্প খরচে অধিক ফলন হবে এবার। স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, ভূট্টা চাষে দরিদ্র কৃষকেরা আর্থিকভাবে সফল হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে যায়, মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের পানিছত্র ও মোবারাপুর এলাকায় মাঠের ভুট্টাক্ষেতে সারি সারি ভ’ট্টা গাছ দেখে কৃষকরা খুশি হচ্ছে। সবুজ রঙের গাছগুলো দেখলেই তাদের চোখ জুড়িয়ে যায়। ক্ষেতগুলোতে পানি ও কীটনাশক দেওয়া এবং পরিচর্যায় কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্ষেতগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে চালুয়াহাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের জমিতে ভূট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতিমধ্যে কাঙ্খিত ভূট্টা চাষ হয়েছে আগামী বছর আরো বেশি ভূট্টা চাষে করবেন কৃষকেরা।
মোবারাকপুর গ্রামের ভূট্টাচাষি সবুজ হোসেন বলেন, ভূট্টা চাষে আগে লাভ হতো না। এখন এ চাষে বেশ লাভ হচ্ছে আমাদের।হাইব্রিড জাতের ভূট্টা চাষে ১বিঘা জমিতে প্রায় ৪০থেকে ৪৫ মণ হচ্ছে। ৩বিঘা জমিতে ১৩৫মণ ভূট্টা হতে পারে। আগে এক বিঘা জমি ২৫থেকে ৩০মণ ভূট্টা পাওয়া যেতো। আগের থেকে ভূট্টার এখন দামও ভালো।
চাষি সুমন হোসেন বলেন,আমি এখন যে জমিতে ভূট্টা চাষ করছি সেগুলোতে আগে অন্য ফসল চাষ করতাম।
বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ড সরকারের একটি প্রকল্প থেকে আমাকে প্রথম হাইব্রিড জাতের ভূট্টার বীজ দিয়েছিল। লাগিয়ে দেখিছি ভালো ফলন ভুট্টা চাষ হয়েছে। এখন ভালো ফলন হওয়া আমরাও লাভবান হতে পারব।
চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, ভূট্টা চাষে কৃষকরা এখন লাভবান হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আশা করা যায় ভূট্টার বাম্পার ফলন হবে। স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল ভূট্টা উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।