নেংগুড়াহাট (মনিরামপুর) প্রতিনিধি : মনিরামপুর উপজেলার নেংগুড়াহাট অঞ্চলে হাইব্রিড জাতের ভাতি শাক চাষে ঝুঁকছেন কৃষাকরা। হাইব্রিড ভাতি শাককে অনেকে চিনা শাক বলেন। অল্প খরচে ও কম পরিশ্রমে লাভ বেশি হওয়ায় উপজেলায় কৃষকরা বর্তমানে ভাতি শাক চাষে ঝুঁকছেন। শীতকালীন সবজি ভাতিশাক চাষ করে গত বছর সফল হয়েছেন এবারো চাষ করেছেন কৃষক। এই শাকের বাজারে চাহিদাও ব্যাপক।
মাছ,মাংস ও ডিমের তুলনায় শাকসবজি দামে কম বলে মানুষ তার পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য শাকসবজির ওপর নির্ভর করে থাকে। হায়াতপুর গ্রামের সবজি চাষি সাইদুর রহমান বলেন, ভাতি শাকের ব্যাপক চাহিদা। বাজারে ভাতি শাকের দাম বেশি হওয়ায় তিনি এ বছর সাত কাটা জমিতে চাষ করেছেন। গতবছরে ৫কাটা জমিতে চাষ করে বেশ লাভ হয়েছিল। তার দাবি, তারর দেখাদেখি এই বছর গ্রামের অনেক কৃষক এই ভাতিশাক চাষ করেছেন। ভাতি শাক চাষে খরচ কম, লাভ বেশি তাই দিন দিন ভাতিশাক চাষ বাড়ছে বলে আর এক কৃষক দবিরের দাবি।
উপজেলার চালুুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী মারম্নফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, পুরো পরিসংখ্যান না থাকলেও চলতি মৌসুমে নেংগুড়াহাট অঞ্চলে অনেক জমিতে এ শাকের চাষ হয়েছে। আগামী বছর ভাতিশাক চাষ বেশি হবে বলেও আশা করেন তারা। ভাতিশাক চাষে পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয়। বীজ বপনের ১৫/২০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায় বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তরা।