মাজের কথা ডেস্ক : প্রভাব বিস্তারের জেরে মাদারীপুরের কালকিনিতে যুবদলের দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী শামীম মোল্লাসহ পাঁচ যুবদল কর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী নিয়ে শামীম মোল্লা ও শিকদার মামুনের গ্রুপের মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। তারা দুই জনই সভাপতি প্রার্থী হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে চরম শত্রুতা সৃষ্টি হয়েছে এবং দুই পক্ষের মাঝে মাঠে প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শনিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রতিরোধ করতে মাঠে নামে যুবদল সভাপতি প্রার্থী শামীম মোল্লা ও শিকদার মামুনের কর্মী সমর্থকরা।
এ সময় যুবদলের ওই দুই পক্ষ সামনাসামনি হলে প্রথমে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় যুবদলের উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়া, ইটপাটকেল ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এতে আহত হন উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী শামীম মোল্লা, তার কর্মী জাহিদ, সম্রাট মোল্লা, মিন্টু ঘরামীসহ পাঁচ জন। এ ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
আহত যুবদল নেতা শামীম মোল্লা দাবি করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ যাতে করে মাঠে না আসতে পারে সেই উপলক্ষে আমরা রাজপথে ছিলাম। এ সুযোগে মামুনের লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করেছে।
যুবদল নেতা মামুন শিকদার দাবি করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই মারামারি ঘটনা ঘটেছে।
কালকিনি থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।