সমাজের কথা ডেস্ক : তৃণমূল বিএনপি চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব।’
৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই। এতে কোনো সমাধান আসে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নতুন রাজনীতি দেখতে চায়। কেউ দেশে বিদেশে একের পর এক বাড়ি গাড়ি করবে, আর কেউ বাজারে গিয়ে আলুও কিনতে পারবে না তা তো হতে পারে না। তৃণমূল বিএনপি তাদের জন্য, যারা দিন আনে দিন খায়।’
তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানান।
যোগদান অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক ডজন নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেন। যাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ, বিএনপির ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের সাবেক নেতা। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন।
ওই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, দলের নির্বাহী চেয়ারপার্সন এ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা। তিনি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দুই দফায় খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে মন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন।
পরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দলও গঠন করেন। এরপর গঠন করেন ‘তৃণমূল বিএনপি’।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু কমিশন সেআমলে নিবন্ধন দেয়নি। যেকারণে দলটি আদালতের দ্বারস্থ হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ফেব্রুয়ারিতে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধন পাওয়ার কয়েক দিনের মাথায় নাজমুল হুদা ইন্তেকাল করেন।