সমাজের কথা ডেস্ক : বিভিন্ন প্রদেশে সশস্ত্র চলমান সংঘাতের মধ্যেই মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তা। জানা গেছে, দেশটির নির্বাচন কমিশন এবং সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত একাধিক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ লক্ষে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। খবর: ইরাবতী নিউজ
<<আরও পড়তে পারেন>> তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার
এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজ জানিয়েছে, চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সামরিক বাহিনী পরিচালিত সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী কো কো কো’কে দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান করেছেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। গত বুধবার থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন কো কো।
পরের দিন বৃহস্পতিবার জান্তা সরকারের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মিন্ট কায়াইং এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সাম্প্রতিক জনশুমারি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি এ বিষয়ক একটি খসড়া প্রতিবেদনও উপস্থাপন করেন।
সামরিক বাহিনীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মিয়ানমারে জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরের মধ্যে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। বৈঠকে তিনি বলেন, দেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজ এগিয়ে চলছে এবং তা শিগগিরই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ‘সত্যিকার গণতান্ত্রিক নির্বাচন’ আয়োজনের জন্য জাতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।