৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্রকারীরা আবারো জেগে উঠেছে : কাজী জাফর উল্লাহ

মেহেরপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ মেহেরপুরের মুজিবনগরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, প্রায় দুশ’ বছর আগে মীর জাফরের ষড়যন্ত্রে বাংলার শেষ নবাব সিরাজ উদ দৌলার পতন ঘটে পলাশীর আ¤্রকাননে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলাদেশের সূর্যোদয় হয় অকুতোভয় বাঙ্গালীর আত্মত্যাগে। মীরজাফরের মতো মানুষ আমাদের দেশেও ঘাপটি মেরে আছে আমাদের স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করতে। পলাশীর ষড়যন্ত্রের মতো আমাদের আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়েও বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। ওদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য নেতৃত্ব আছে। অনেক আসনে অনেকজন দলীয় মনোনয়নের দাবিদার হতে পারে, এটা দোষের কিছু না। তবে শেখ হাসিনা যাকে মনে করবেন, যাকে দিয়ে নৌকার বিজয় হবে তাকেই মনোনয়ন দিবেন। এক্ষেত্রে সব বিভেদ ভুলে একসাথে নৌকার বিজয়ের লক্ষে কাজ করতে হবে। একজন দশ বছর ক্ষমতায় আছে বলে সে আবারও থাকবে এমন কোন কথা নেই। নেতৃত্বের পরিবর্তন হতে পারে। যারা জনগনের পাশে থাকে, যারা সাধারণ জনগনের সাথে মিশতে পারে তারাই মনোনয়ন পাবার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের পাদদেশে শেখ হাসিনা মঞ্চে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিমের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। অগণিত মা বোনের সম্ভ্রম ও ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। যাদের সক্ষমতা আছে তারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিরা যতই জ্বালাও-পোড়াও করুক সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা মুজিবনগর দিবসকে মানে না। তারা পালনও করে না। অথচ এটিই আমাদের মুক্তিযদ্ধের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উগ্র মৌলবাদ, জঙ্গী তৎপরতা প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ১৯৭১ সালে যারা আমাদের এই মহান স্বাধীনতাকে মেনে নেননি, তখনও তারা বিরোধিতা করেছিল, তাদের বংশধরেরা এখন আরও বেশি সংঘবদ্ধ। সময় সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের সরকারকে বিব্রত এবং মহান স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালায়। আজকের সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকার ওইসব অপশক্তিকে দমণ করে রেখেছে।
সভাপতির বক্তব্যে বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার একমাত্র মালিক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যারা এ দেশে অপরাজনীতির পথে হাঁটবে সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রাম চালাতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মিলন এমপি, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি, আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটাজী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। জনসভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।

এর আগে সকাল ৬ টায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে মুজিবনগর দিবসের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। পরে সকাল ৯ টায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শণ করেন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের পর “জল, মাটি ও মানুষ” নামের একটি গীতিনাটক অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram