সমাজের কথা ডেস্ক : দেশের নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ শনিবার রাতে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ—ইরাব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০১০ এর শিক্ষানীতির আলোকে নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক অথবা স্বল্পমূল্যে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। টাকার জন্য কোনো শিক্ষার্থী যাতে নিম্ন মাধ্যমিক থেকে ঝরে না পড়ে, সেই প্রয়াস থাকবে আমাদের।’
নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা থাকবে কি না— এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি শিগগিরই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তবে মূল্যায়নটা এমনভাবে হওয়া উচিত, যাতে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে।’
শিক্ষার প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে যে কোনো অসঙ্গতি বা অভিযোগের বিষয় সরাসরি উচ্চপর্যায়ের নজরে না এনে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সরাসরি উচ্চপর্যায়ে প্রশ্ন করা হলে সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে একটি ডিফেন্সিভ উত্তর দেওয়া হয়। ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না। শিক্ষার তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানান তিনি।’তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর দিতে চান উল্লেখ করে নওফেল বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নতুন সরকারের নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন।
পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করব। আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট জেনারেশনের (প্রজন্ম) জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট যত দক্ষতা আছে, সেগুলো আমরা আমাদের কারিকুলামে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। মূলত কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা নিজেরাও পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ—ইরাব সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইরাব সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান।
এ সময় ইরাবের যুগ্ম সম্পাদক নাজিউর রহমান সোহেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদসহ সংগঠনের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।