বেনাপোল প্রতিনিধি: ভারত থেকে নিত্য পণ্যের আমদানিতে ভাঙ্গতে শুরু করেছে দুনীতিবাজদের সিন্ডিকেট। ইতোমধ্যে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পেঁয়াজ, ডিম, আলুর দাম নিম্নগামী হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে সাধারন মানুষের মাঝে।
বাণিজ্য সংশিষ্টরা জানান, অতি মুনাফা লোভী সিন্ডিকেট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে চলেছে। দুনীতিবাজ এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে আইনী ব্যবস্থা নিয়েও সিন্ডিকেট থামানো যায়নি।
এতে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বাধ্য নিত্য পণ্যের দাম নির্ধারণ ও আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। আমদানি পণ্য দেশের বাজারে ঢুকতেই ভেঙ্গে পড়ছে সিন্ডেকেট।
অসাধু ব্যবসায়ীদের চক্ররে দেশের বাজারে ৯ টাকার ডিম হয় ১৩ টাকা, ২৫ টাকার পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ৬০০ টাকা ও আলু ২৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার বাধ্য হয়ে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে ভারত থেকে ডিম, পেঁয়াজ, কাচা মরিচসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আমদানি করছে। এসব খাদ্যদ্রব্যের সিংহভাগ আসছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে আগামীতে বাজার নিয়ন্ত্রন আরো সহজ হবে।
বেনাপোল বাজারের সাধারণ ক্রেতা কাজল জানান, বাজারে নিত্য পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে, আমদানির কারনে কিছু পণ্য কম দামে কিনতে পারছি। তবে আমদানি করে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে এটি সব সময় ঠিক না। এসব পণ্য আমদানিতে দেশের চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়ে। দেশের সিন্ডিকেটবাজদের বিরুদ্ধে সরকারকে আরো কঠিন হতে হবে।
বেনাপোল বাজারের ডিম বিক্রেতা আলমগীর হোসেন জানান, ভারত থেকে ডিম আমদানিতে দাম কমতে শুরু করেছে । প্রতি পিস ২ টাকা পর্যন্ত কমে বড় সাইজের ডিম ১১ টাকা ও ছোট ডিম ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলু কাঁচাঝাল ও পেঁয়াজ বিক্রেতা হযরত আলী জানান, আমদানির কারনে তারা মোকাম থেকে কম দামে আলু পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। বর্তমানে আলু খুরচা বাজারে ৪৫, কাঁচা ঝাল ১১৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। দাম আরো কমার সম্ভবনা আছে।
আমদানিকারক উজ্বল বিশ্বাস জানান, ভারত থেকে নিত্য পণ্য আমদানি যদি আরো সহজ করা যায় তবে সিন্ডিকেট থাকবেনা। আর ভারতের সাথে কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে যে কোন ধরনের খাদ্য ঘাটতি অনেকটা পূরন হবে।
বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, নিত্য পণ্যের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে কম বেশি পেঁয়াজ, কাচামরিচ, ডাল ও ডিম আমদানি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত এসব পণ্য খালাস নিয়ে বাজারে সহবরাহ করতে পারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৪৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ, ৬১ হাজার ৯৫০ পিস মুরগীর ডিম ও ৬০০ মেট্রিক টন মসুরীর ডাল আমদানি হয়েছে।
তবে ভারত সরকার প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের রফতানি মুল্য ১৫০ ডলার বৃদ্ধির পর পেঁয়াজ আমদানি কমেছে।