নিজস্ব প্রতিবেদক : নাশকতার অভিযোগে যশোরে বিএনপি—জামায়াতের ৩৮ নেতাকর্মীর নামে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় ১৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামাসহ ১৫০—২শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার বাদি ফুলবাড়ি ক্যাম্পের এসআই পবিত্র বিশ্বাস।
অপর মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার বাদী কোতোয়ালি থানার এসআই তুহিন বাওয়ালি। দু’টি মামলায় মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯টি ককটেল সদৃশ্য বোমা, ৯টি বাঁশের লাঠি, ১১টি ইটের টুকরো, ও ১৩টি বিভিন্ন সাইজের স্যান্ডেল। ১১অক্টোবর বুধবার মামলা দুটি করা হয়।
এসআই পবিত্র বিশ্বাসের মামলায় আটককৃতরা হলেন, সদরের ললিতাদহ পশ্চিমপাড়ার জহুরুল ইসলাম (৪৫), তপসীডাঙ্গার আবু তাহের ভুইয়া (৪৮), এড়েন্দার আব্দুল মোতালেক (৪৯), রামকৃষ্ণপুরের ইসরাইল হোসেন (৫২) ও একই গ্রামের ডাক্তার আব্দুস সবুর (৫১)।
অপরদিকে এসআই তুহিন বাওয়ালির মামলায় আটককৃতরা হলেন, সদরের হাটবিলা গ্রামের আব্দুর রশিদ (৪৮), খোলাডাঙ্গার আক্তারুজ্জামান (৪২), রূপদিয়ার বিল্লাল হোসেন (৬০), ভেকুটিয়া মাঠপাড়ার ইবাদ মোল্লা (৫৫) শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ার আজগর হোসেন খোকন (৫০) ও সিরাজসিঙ্গার বাবুল (৫০)।
মামলা দুটিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে ১১ অক্টোবর সকালে সরকারের চলমান উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষে সরকারি—বেসরকারি অফিসে হামলা, গাড়ি ভাংচুর ক্ষতি সাধনসহ জনমনে আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রাজারহাট চুকনগর সড়কের পূর্বপাশে মেসার্স মশিয়ার ট্রেডার্সের সামনে খালি জায়গায় এবং যশোর—মাগুরা সড়কের লেবুতলা বাজারে হ্যানিম্যান হোমিও কমপ্লেক্সের সামনে ফাঁকা জায়গায় কতিপয় বিএনপি—জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা অন্তর্ঘাতমূলক হামলা করার জন্য লাঠিসোঠা ইটপাটকেল ও ককটেল বোমা নিয়ে অবস্থান করছে।
এখবরের ভিত্তিতে সেখানে গেলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুলিশ দেখে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দিক—বিদিক ছোটাছুটি করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তার এদেরকে আটক করা হয়। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ককটেল সাদৃশ্য বোমা, লাঠি ও ইট পাটকেল।