নিজস্ব প্রতিবেদক : নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে যশোরে জামায়াতে ইসলামীর ৯জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। চারটি ককটেল বোমা ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ আটক ৯ জনসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো অনেকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, জেলা জামায়াতের পূর্ব শাখার সভাপতি ও অভয়নগর উপজেলার ধলিরগাতি গ্রামের মৃত আজিবর রহমানের ছেলে অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলার মুনসেফপুর গ্রামের আবু জেহের আলীর ছেলে মাওলানা শাখারীগাতি গ্রামের মৃত সরফ উদ্দিনের ছেলে মাওলানা রইচ উদ্দিন, কেফায়েতনগর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস, তালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবু বক্কার সরদারের ছেলে ওলিয়ার রহমান, আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলের আব্দুস সামাদ, বড় মেঘলা গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী দফাদারের ছেলে ওবায়দুর রহমান, আতিয়ার সরদারের ছেলে সেলিম রেজা ও আকরাম হোসেনের ছেলে রাজু আহম্মেদ।
এই মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, ঘুরুলিয়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমান মোল্যার ছেলে আনোয়ার হোসেন লাল্টু, তালবাড়িয়া গ্রামের চিনেডাঙ্গা পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে কবির হোসেন, যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া তুলোতলার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে জয়নাল হোসেন, মৃত আব্দুর রাজ্জাক ভুইয়ার ছেলে শামসুল আলম ভুইয়া, চাঁচড়া পশ্চিমপাড়ার মৃত নইমুদ্দিন মোল্যার ছেলে আবু হানিফ, মন্ডলগাতি গ্রামের আব্দুস সামাদ মহলদারের ছেলে আব্দুল জলিল, ভাতুড়িয়া গ্রামের দাড়িপাড়ার মোহাম্মদ আলী মোড়লের ছেলে হায়দার আলী, ভাতুড়িয়ার ওসমান আলীর ছেলে ইমান আলী, ভাতুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার মওলুদ হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম মনা, জিরাট গ্রামের মৃত কাবিল গোলদারের ছেলে জলিল গোলদার, নরেন্দ্রপুর গ্রামের আবুল কালাম গাজীর ছেলে আব্দুস সামাদ, চাঁচড়া বেড়বাড়ির মৃত কিয়াম উদ্দিন সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান মাস্টার, তপসীডাঙ্গার মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, সাড়াপোলের আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইকবাল হোসেন, মৃত গহর আলীর ছেলে ফজর আলী সরদার, আবু বক্কারের ছেলে নুর ইসলাম, সিরাজ সরদারের ছেলে ইকরামুল হোসেন, ওসমান সরদারের ছেলে মিন্টু, করিচিয়া গ্রামের সৈয়দ আলী বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম, মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুস সালাম, মৃত ওয়াহেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে আব্দুস সামাদ, আব্দুর রবের ছেলে আনোয়ার হোসেন, বড় মেঘলার মাসুম বিল্লাহ, নওসের সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম, ইউসুফ সরদারের ছেলে মহিউল ইসলাম, ছোট মেঘলার ফরিদ আহম্মেদ, ভাতুড়িয়ার ইসরাইল গাজীর ছেলে ফারুক হোসেন, ভাতুড়িয়া—নারায়নপুরের আয়ুব আলীর ছেলে রুসাদ আলী, মাহাবুর হুজুরের ছেলে হাবিবুর রহমান ও বানিয়াবহু গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আলী হোসেন।
চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশের এসআই সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, আটক এবং পলাতক আসামিরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে যশোর—বেনাপোল মহাসড়কের সদর উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামের মাদরাসার পাশে একত্রিত হয়। এসময় তাদের কাছে ককটেল বোমা, লাঠিসহ বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রশস্ত্র ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে পুলিশের একটি টিম সেখানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় ধাওয়া করে পুলিশ ওই ৯জনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি ককটেল বোমা কয়েকটি লাঠি। এদিনই এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত অনেকের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক মামলা রয়েছে।