নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে নাশকতার উদ্দেশ্যে ও পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টাকালে বিএনপির ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি ককটেল, কাঠের লাঠি ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৯২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, সদর উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামের মধ্যপাড়ার আবির হাসান শুভ, ঢাকাইল্যাপাড়ার ফিরোজ শেখ, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিকী, মাহিদিয়া গ্রামের এবিএম আসাদুজ্জামান, সাড়াপোলের আবু হাসান কুদ্দুস, শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার আল মাসুদ রানা, রূপদিয়ার পলাশ খান, মধু গ্রামের রুহিন হোসেন, ঘুরুলিয়ার কুদ্দুস হোসেন, বানিয়ারগাতির শফিয়ার রহমান, শেখহাটির বদিউজ্জামান, তরফ নওয়াপাড়ার আকরাম হোসেন ও ঘুরুলিয়া কারিকরপাড়ার শামীম।
চানপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলামের দায়ের করা মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি গোলাম রেজা দুলু, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, আরএন রোড এলাকার সাগর, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোস্তফা আমির ফয়সাল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতানপুর গ্রামের আঞ্জুরুল হক খোকন, ফরহাদ হোসেন, সীতারামপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম টুকু,
মাহাবুবুর রহমান, এমএ জলিল, মহিউদ্দিন খান, ধানঘাটা গ্রামের আবুল হাশেম, বালিয়াডাঙ্গার ওসমান গণি, কামাল হোসেন, সোহরাব হোসেন, ওহিদুল ইসলাম দুলি, মাসুদুর রহমান, হাফিজুর রহমান, সুলতানপুর গ্রামের মহিউদ্দিন মধু, এহসানুল হক, চানপাড়ার এলেন হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজাপুর গ্রামের ছবদুল হোসেন, ঝুমঝুমপুর গ্রামের ওবায়দুর রহমান, আজিম হোসেন বিশ্বাস, বাউলিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, হামিদপুরের মঞ্জুরুল মাহমুদ লিটু, হাবিবুর রহমান লেন্টু, ভায়না গ্রামের মশিয়ার রহমান, গোলাম সরোয়ার লিটন, ফরিদুজ্জামান অপু, শহরের পূর্ববারান্দী মাঠপাড়ার মাসুদুল বারী ওরফে কাক্কু মিয়া এবং বারান্দী মোল্যাপাড়া আমতলার শেখ মনিরুল কবির নান্নু।
এসআই আমিনুল ইসলামের মামলায় বলা হয়েছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গোপন সূত্রে জানতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে ইউনিয়ন পদযাত্রার নামে যশোর-নড়াইল সড়কের বাউলিয়া বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, লোহার রড ও বোমাসহ যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি ফোর্স নিয়ে সেখানে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে দিকবিদিক ছোটাছুটি করে। সেসময় উল্লিখিত ৭জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে ৫টি ককটেল, ৩টি কাঠের বাটাম, ২টি লোহার রড এবং ৪ টুকরো ইট জব্দ করা হয়। রোববার আটক ৭জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই একরামুল হুদার দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫১জনকে। এই মামলায় আটক ৫জনের কাছ থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
পলাতক আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক উপশহর ডি ব্লক এলাকার মিজানুর রহমান, কিসমত নওয়াপাড়ার আনোয়ার হোসেন লাল্টু, রাজু আহম্মেদ, শেখহাটির আসাদুল ইসলাম ঝন্টু, কামরুল হাসান শিমুল, আলাউদ্দিন, আলতাফ হোসেন, বেনজির আহম্মেদ, আশরাফুল আলম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, আরাফাত হোসেন, ইকবাল হোসেন, তালবাড়িয়ার কবির হোসেন, বাহারুল ইসলাম, পাঁচবাড়িয়ার মশিয়ার রহমান বাবলু,
তালবাড়িয়া চিনেডাঙ্গা পাড়ার শামীম, ঘুরুলিয়ার আক্কাস, আশরাফুল ইসলাম, শামীম, আড়পাড়ার আমিনুর রহমান মধু, রাসেদুজ্জামান, দুলাল হোসেন, ফারুক হোসেন, ইকলাস হোসেন, বড় গোপালপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, মধু গ্রামের মাহবুবুর রহমান, ছোট বালিয়াডাঙ্গার তোফাজ্জেল হোসেন, বাহাদুরপুরের রুহুল, বড় গোপালপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আলমনগর গ্রামের আশরাফুজ্জামান মিঠু, যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়া
রেলগেট মুজিব সড়কের আব্দুর রাজ্জাক সরদার, বকচর হুশতলার আব্দুর রউফ, নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার শেখ ফেরদৌস ওয়াহিদ লিটন, শহরতলীর শেখহাটি এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান কবির, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ, একই এলাকার বর্তমানে যশোর শহরের পুরাতন কসবা পাওয়ার হাউজ পাড়ার বাসিন্দা নূর আলম, যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, তার ভাই আরিফ হোসেন, সদর উপজেলার ইছালী-পাঁচবাড়িয়া গ্রামের বজলুর রশিদ, কিসমত নওয়াপাড়ার সিরাজুল ইসলাম, সমসপুর গ্রামের শান্টু হোসেন, রুহুল কুদ্দুস, শাহাবুদ্দিন এবং মুকুল হোসেন।
এজাহারে এসআই একরামুল হুদা বলেছেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে গোপন সূত্রে জানতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে ইউনিয়ন পদযাত্রার নামে কিসমত নওয়াপাড়ার মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, লোহার রড, বোমা নিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি ফোর্স নিয়ে সেখানে গেলে আসামিরা চারিদিকে ছোটাছুটি করতে থাকে। সেখান থেকে উল্লেখিত ৫জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪টি ককটেল, বাঁশের লাঠি, লোহার রড প্রভৃতি উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার আটক ৪জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।