সমাজের কথা ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরা এখন এগিয়ে আসছে পারিবারিক জীবন থেকে শুরু থেকে শুরু করে কর্মজীবন সবক্ষেত্রেই। তবে নারীদের এই সফলতা দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। তাদের সফলতা এসেছে সঠিক পথে সঠিক কৌশলে অগ্রসর হওয়ার জন্য। নারীরা কিভাবে সফল হবে নিচে তেমনই ৭ সফল নারীর দেয়া পরামর্শ তুলে ধরা হলো :
নিয়ম করে সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে : নাসার সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর লোরি গারভার তার সফলতার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলার কথা। জানান, প্রতিদিন সকাল ৬টায় ঘুম থেক উঠি। অনেক সকালে উঠে ব্যায়াম করা আমার অন্যতম কাজের একটি। প্রতি সাপ্তাহিক ছুটিতে ইয়োগ ক্লাস কখনো বাদ দেইনি। যত ব্যস্ততাই থাক না কেন, সকালে উঠে ব্যায়াম আমার অন্যতম একটি কাজ।
শরীর চর্চা বিশেষ করে ইয়োগা করুন : জেন্ডার প্রাউডের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরামর্শদাতা জিনা রোসেরো। তার দিন কাটে দারুণ দৌড়াদেঁৗড়ির মধ্য দিয়ে। তিনি একাধারে মডেল, প্রোডিউসার, বক্তা এবং পরামর্শদাতা। তার কাজের ক্ষেত্র বিশাল। এ ব্যস্ততাকে কাজে লাগানোর একটি উপায়ই খুঁজে পেয়েছেন জিনা। ইয়োগাই তাকে নিয়মিত কর্মক্ষম রেখেছে।
সময়ানুবর্তী হোন : সম্পর্ক এবং আধ্যাত্মবাদ বিষয়ক এক্সপার্ট মিখাইলা বোহেম বছরের ২০ সপ্তাহ পৃথিবীর যেকোনো স্থানে থাকেন। এই ক্যারিয়ারে মানিয়ে নিতে একমাত্র উপায় হিসেবে নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চলার কথা বলেছেন।
<< আরও পড়ুন >> ‘ফ্রিল্যান্সিং : ঘরে বসে মেয়েদের জন্য এর চেয়ে ভালো কাজ হতেই পারে না’
বাসায়ই ব্যায়াম করুন : পার্সলে হেলথ'র প্রতিষ্ঠাতা রবিন বারজিন গোটা দিনই ব্যস্ত থাকেন। ইয়োগা বেশ কাজে লাগে তার। কিন্তু বাড়িতেই ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলেছেন তিনি। আর বাইরে গেলে যতটা পারা যায় হেঁটে নেন। এই ব্যায়াম তাকে গোটা দিনের কাজের শক্তি জোগায়।
৮ ঘণ্টা ঘুমান : সিএনএন'রর পলিটিক্যাল কমেন্টেটর স্যালি কোহেন জানান, তার ব্যস্ততাপূর্ণ জীবনের মূল প্রাণশক্তি ঘুম। যাই ঘটে যাক, প্রতিরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম তার অতি জরুরি। ঘুমই তার ক্লান্তদেহে পরদিন কাজের শক্তি ফিরিয়ে দেয়।
একটা সময় একাকী থাকুন : লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং কালচারাল প্রোডিউসার ড্রিম হ্যাম্পটন কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠেন। দিনের একটা সময় তাই প্রয়োজন ঝামেলাহীন বিশ্রাম। মানসিক স্বাস্থ্যটাকে ঠিক রাখতে তিনি নির্দিষ্ট একটা সময় স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থেকে দূরে থাকেন। এটা একটানা কয়েক দিনের জন্যও হতে পারে।
গ্রুপ ওয়ার্ক করুন : একজন গৃহিনী স্টেসি শের। কিন্তু দারুণ ব্যস্ত থাকতে হয়। অনেক সময়ই দৈহিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তবে দারুণ একটা সমাধান বের করেছেন। ব্যায়াম শুরু করেছেন। তবে তা কোনো না কোনো বন্ধুর সঙ্গ ছাড়া এটা হয়ে ওঠে না। অন্যান্য কাজও তিনি বন্ধুদের আড্ডায় করতে পছন্দ করেন। এতে কাজের পেরেশানি বোধ হয় না। অন্যান্য গৃহিনীদের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন।