সমাজের কথা ডেস্ক : কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মালদ্বীপের আদলে সাজানো হচ্ছে কক্সবাজারের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র। এই পর্যটন নগরীতে অন্তত ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন পর্যটন শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত হবে অন্যদিকে আধুনিক নগরী হয়ে উঠবে কক্সবাজার। সেইসঙ্গে সারা বছর ঢল নামবে দেশি—বিদেশি পর্যটকের। অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা, গতি আসবে স্থানীয়দের জীবনযাত্রায়। নিশ্চিত হবে জীবনমানের উন্নয়ন।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের, দোহাজারী—কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ, সোনাদিয়াকে বিশেষ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা, ইনানী সৈকতের উন্নয়ন, টেকনাফের সাবরায়েং ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ, শামলাপুর সৈকতের উন্নয়ন, চকরিয়ায় মিনি সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক আধুনিকায়নসহ অন্তত ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিনকে সাজানো হচ্ছে মালদ্বীপের আদলে। ভ্রমণের জন্য সেন্টমার্টিনে নামবে সি—প্লেন। কক্সবাজার—মহেশখালী ও টেকনাফে চলবে ক্যাবল কার। এগুলোকে সমন্বয় করতে চলছে নানা উন্নয়নকাজ। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বদলে যাবে এই পর্যটন নগরী।
দেশের প্রথম সমুদ্রবক্ষের ওপর নির্মিতব্য কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরে শেষের দিকে আন্তর্জাতিকভাবে বিমান ওঠানামা করবে। সমুদ্রের জলে গড়ে উঠা রানওয়ের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সমুদ্রে সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমুদ্রগর্ভে ৪৩ হেক্টর ভূমি পুনরুদ্ধার করে ভরাটের মাধ্যমে রানওয়ে বর্ধিত করা হচ্ছে। এতে রানওয়ের দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট, যা হবে দেশের সর্ববৃহৎ রানওয়ে। দেশি—বিদেশি পর্যটকদের সহজ যাতায়াতের জন্য এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।