২৫শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ভয়েস প্রযুক্তি
নতুন সম্ভাবনা ভয়েস প্রযুক্তি

এ. জেড. এম সাঈফ : বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ঈর্ষনীয় অগ্রগতি ঘটেছে। যা ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা শ্রেণি তৈরি হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ এ খাতের অভাবনীয় উত্থানে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। যার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল প্রকল্পে বিনিয়োগ।

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল প্লাটফর্ম ব্যবসা—বাণিজ্যকে নতুন রূপ দেওয়ার সঙ্গে ই—মার্কেটপ্লেস ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র তৈরি ও সফটওয়্যার পার্ক এবং ইনোভেশন হাবগুলো প্রযুক্তি বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। অর্জনগুলো প্রসংশনীয় হওয়া সত্ত্বেও সত্যিকারের স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ আরও নিত্যনতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত করে। যা ডিজিটাল জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। যার সেতুবন্ধন হিসেবে ভয়েস প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণে উৎসাহিত করে।

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য প্রশংসার দাবীদার। তবে প্রযুক্তি বিশ্বে ‘স্মার্ট’ জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যাত্রা সবে সূচনা মাত্র। কাঙিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছতে বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। স্মার্ট প্রযুক্তিনির্ভর জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশে এমন কিছু চ্যালেঞ্জ সম্মুখীন হওয়ার সময় এসেছে যা শুধু দূরদর্শী পরিকল্পনা আর তা সমাধানের মাধ্যমেই সম্ভব।

ডিজিটালি সমন্বিত সমাজকে স্মার্ট সমাজে রূপ দিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, জ্বালানী ও প্রশাসন— বৃহত্তর পরিসরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবহার উৎসাহিত করা প্রয়োজন । প্রযুক্তিকে প্রয়োজন মাফিক কাজে লাগানোই নয়, বরং যার মাধ্যমে কাঠামো, মতাদর্শ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামগ্রিক সব প্রক্রিয়ার আমূল রূপান্তর সম্ভব। স্মার্ট যাত্রাকে সাফল্যমন্ডিত করতে অবকাঠামোগত সক্ষমতা, সেক্টরাল ইন্টিগ্রেশন, গোপনীয়তা রক্ষা, উন্নয়ন ও গবেষণায় বিনিয়োগ, চলমান শিক্ষণের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ হওয়ার মতো বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মূলত দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের আকাঙক্ষা থেকে প্রসূত; যা দেশের প্রতিটি প্রান্তে সুফল পৌঁছে দেবে। সহযোগিতার সংস্কৃতির মাধ্যমে বিদ্যমান সব প্রতিবন্ধতকা দূর করা অনেকাংশেই সম্ভব। সামগ্রিক বিবেচনায় উদ্ভাবনের বিষয়টিকে কেন্দ্রীভূত রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল উন্নয়ন ও গবেষণায় বিনিয়োগ, চলমান শিক্ষণের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ হওয়ার মতো বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

ডিজিটাল ভিত স্থাপনের পরবর্তী পর্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন খাতভিত্তিক বিরাজমান সব চ্যালেঞ্জ নিরসনে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করা। নতুন অধ্যায় তৈরিতে নিজেদের সুসংহত করা। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে চ্যালেঞ্জগুলো শনাক্ত করা গেলেই প্রযুক্তিকে সবার কল্যাণে নিয়োজিত করা সম্ভব।

ক্রমবিবর্তনশীল প্রযুক্তির দৃশ্যপটে বাংলাদেশে ফিচার ফোন ব্যবহারের প্রবণতা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরে সিমাবদ্ধতা ও বাস্তবতা। ডিজিটাল অগ্রগতির যুগেও তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী ও সহজে ব্যবহারযোগ্য ফিচার ফোন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রথম পছন্দের ডিভাইস। এমন পরিস্থিতিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের হাতেই এখনও ফিচার ফোন।

এমন বাস্তবতা সত্ত্বেও মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অসম ডিজিটাল স্বাক্ষরতা জ্ঞান। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল থেকে বঞ্চিত সমাজের বয়স্ক জনগোষ্ঠী মনে করেন, স্মার্টফোন ব্যবহার করা জটিল ও ঝামেলাপূর্ণ। উদ্বেগের বিষয় মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশেরও কম ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ। ফিচার ফোন ব্যবহারে সৃষ্ট শূন্যতা পূরণে চাই সঠিক নীতি ও কৌশল। ডিজিটাল স্বাক্ষরতা শুধু সংযোগ বা যোগাযোগ স্থাপনই না, প্রভাব সৃষ্টি করার মতো ডিজিটাল কনটেন্ট, প্লাটফর্ম নেভিগেশন, অর্থবহ ডিজিটাল এনগেজমেন্টের মতো বিষয়গুলো যার আওতাভুক্ত। মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা ডিজিটাল স্বাক্ষরতাকে প্রভাবিত করে। সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে সাধারণত স্বাক্ষরতা জ্ঞান থেকে বঞ্চিত।

এমন বৈষম্যেয় সমতা আনায়নে উদ্ভাবনী কৌশল প্রবর্তন করতে হবে যা স্মার্টফোন ও ফিচার ফোন ব্যবহারকারী উভয়ের জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের এটি মুখ্য বিষয়। সমন্বিত ডিজিটাল শিক্ষণ প্রক্রিয়া, প্রতিবন্ধকতা দূর ও চলমান শিক্ষার মধ্য দিয়ে জ্ঞানভিত্তিক সংস্কৃতির বিকাশই হতে পারে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল নবজাগরণের মূলমন্ত্র। ভয়েস (স্বর) প্রযুক্তি হলো ডিজিটাল স্বাক্ষরতা অর্জনের সময়োচিত নিয়ামক।

ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়টিকে সার্বজনীন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ঘাটতি আছে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়েস প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডিজিটাল সুবিধা ও বৃহত্তর পরিসরে জনমানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে, নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া ছাড়া প্রযুক্তির সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করবে।

ভয়েস প্রযুক্তি, স্পিচ রিকগনিশন ও সিনথেসিস মিশেলে গড়া যুগান্তকারী এক প্রযুক্তি যার ভিত্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (এনপিএল)। আধুনিক বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যেখানে উন্নয়নের মাত্রা নির্দেশ করে, ভয়েস প্রযুক্তি পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় অসীম সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে। এটি মনুষ্য—কম্পিউটার মিথস্ক্রিয়াকে আরও সাবলীল ও উপভোগ্য করে। ভয়েস প্রযুক্তি কোন ডিভাইসকে কথোপকোথন বুঝে প্রতিক্রিয়া জানানোর উপযোগী করে তুলে যোগাযোগ বৃদ্ধি সহজতর করার মাধ্যমে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে এগিয়ে যেতে সহায়ক।

ভাষা ও শিক্ষাগত সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে উঠে প্রযুক্তি, টেক্সট—ভিত্তিক ইন্টারফেইস ব্যবহারে সক্ষম নয় এমন মানুষদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখে। স্বল্প শিক্ষা, ভৌগলিক অবস্থান বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়েস প্রযুক্তি নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে। সবার জন্য ডিজিটাল সেবার সুবিধা উন্মুক্ত করার মধ্য দিয়ে এটি অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করে। কোন ডিজিটাল শিক্ষণ ছাড়াই কৃষক, উদ্যোক্তা, শিল্পী সবার জন্য ভয়েস প্রযুক্তি জরুরি তথ্য ও সেবায় অ্যাকসেস নিশ্চিত করে । শহুরে এলাকার বাইরে বসবাসরত ফিচার ফোন ব্যবহারকারী অধিকাংশ মানুষের হ্যান্ডসেটে ভয়েস ইন্টার‌্যাকশনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিদ্যমান। ফলে স্মার্টফোনের পেছনে বাড়তি টাকা খরচ না করেই তারা ভয়েস প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

বৈশ্বিক ভয়েস প্রযুক্তির নেতৃত্ব

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ও গবেষণা সব প্রতিষ্ঠান ভয়েস প্রযুক্তির বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে নেতৃত্ব অর্জনে সবাই উঠে—পড়ে লেগেছে। ভারত কণ্ঠভিত্তিক অফলাইন ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুর পথে আছে। যার উদ্দেশ্য হলো শহর ও গ্রামের মধ্যে বিরাজমান ডিজিটাল সেবার বৈষম্য কমিয়ে আনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল অবকাঠামোর ভিত্তি ‘ইউনিভার্সাল পেমেন্ট ইন্টারফেস’ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৩৫ কোটি গ্রাহক ও হাজার কোটি লেনদেনের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। তবে সুবিধাবঞ্চিত গ্রামে অপর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা ও কম স্বাক্ষরতার হারের কারণে যার ব্যবহার এখনও সীমিত। সংকট সমাধানে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া কথোপকোথনমূলক পেমেন্ট ব্যবস্থা চালূ করতে যাচ্ছে যার মাধ্যমে গ্রাহকরা মৌখিক নির্দেশনার মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে যার মূলে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত গ্রাহক পরিষেবা।

প্রাথমিকভাবে সেবাটি হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় পাওয়া যাবে। ভারতের ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, মাদ্রাজ উদ্ভাবিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হবে ও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রদেশের ভাষায় সেবা পাওয়া যাবে। তা ছাড়া গ্রাহকরা ইন্টারনেট ছাড়া ‘নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি’ ব্যবহার করেও লেনদেন করতে পারবে। ইতিবাচক দিক সত্ত্বেও, সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। ভারতের অনেক গ্রাম্য এলাকায় ইন্টারনেটের ব্যবহার এখনও সীমিত। তা ছাড়া সেবাটি ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণের নিরাপত্তা ও ভাষাগত ব্যবহার নতুন উদ্বেগের জন্ম দিতে পারে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেট্স ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের মতো মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ও ভয়েস প্রযুক্তির উন্নয়নে যুগান্তকারী গবেষণা চালিয়েছে। গবেষণা, উন্নয়ন ও বাজার সম্প্রসারণে বিশাল বিনিয়োগের কারণে অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিসট্যান্ট অ্যালেক্সাকে বিশ্বে ভয়েস প্রযুক্তির সমার্থক হিসেবেই ধরা হয়।

গুগলের শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত ‘গুগল অ্যাসিসট্যান্ট’ ভয়েস প্রযুক্তির অন্যতম দৃষ্টান্ত যার মধ্য দিয়ে ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ, ডিভাইস ও সেবার মধ্যে সমন্বয় সাধনে গুগলের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে। অ্যাপলে ভয়েস অ্যাসিসট্যান্ট ‘সেরি’ তে অ্যাপলের সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। মাইক্রোসফটের কর্টানা ও আইবিএম ভয়েস অ্যাসিসট্যান্ট ‘ওয়াটসন’ উন্নততর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে গ্রাহকদের জন্য ভয়েস—সক্রিয় অ্যাসিসট্যান্টের সেবা দিয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সেরা হিসেবে পরিচিত ‘ওপেন এআই’ ভয়েস প্রযুক্তির ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজকে বোধগম্য করায় ও সক্ষমতা সৃষ্টিতে বিশেষ অবদান রেখেছে।

চীনে বাইদু ভয়েস প্রযুক্তি ও ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং খাতে বিশাল বিনিয়োগ করেছে। বাইদুর ভয়েস অ্যাসিসট্যান্টের ভূমিকায় আছে অপারেটিং সিস্টেম ডুয়ারওএস। ভয়েস প্রম্পটে গাড়ি চালানো, ব্যবসা—বাণিজ্যসহ বাইদুর সার্চ ইঞ্জিনে কথোপকোথননির্ভর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রবর্তনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

সমান তালে আমরাও এগিয়ে চলেছি। ভয়েস প্রযুক্তিতে বিশেষায়িত বাংলাদেশি টেক—বিস্ময় ‘হিসাব’ প্রযুক্তি বিশ্বে নিজের অবস্থান মজবুত করে চলেছে। হিসাব, ভয়েস টেকনোলজি ও কনভারসেশনাল এআই প্রযুক্তিতে বিশেষায়িত দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ‘হিসাব’ প্রযুক্তি বাংলাভিত্তিক লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল দ্বারা পরিচালিত। যা হিসাবকে বাংলায় পরিচালিত দেশের প্রথম ইঞ্জিনের স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। বিশ্বের ২৭টি রাষ্ট্রে হিসাবের প্যাটেন্ট ৫৪টি। যা হিসাব ব্র্যান্ডকে বিশ্বজুড়ে ভয়েস প্রযুক্তিতে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রূপে গড়ে তুলেছে ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন ভয়েস প্রযুক্তিতে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ব্যস্ত, বাংলাদেশ সেখানে নেতৃত্বের আসনে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগ আছে। ফিচার ফোনের বিস্তৃত অ্যাকসেস, বাংলা ভাষা উপযোগী প্রযুক্তি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অ্যাকসেসের মতো জাতীয় লক্ষ্য— সাফল্য পাওয়ার মতো সব বিষয় নাগালের মধ্যে।

মানবতা ও প্রযুক্তির যোগসূত্র ভয়েস প্রযুক্তি। যুগান্তকারী প্রযুক্তিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন বাংলাদেশকে অসীম সম্ভাবনার ডিজিটাল যুগে নেতৃত্ব এনে দেবে। যার মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধতকা দূর হয়ে সূচিত হবে অপ্রতিরোধ্য যোগাযোগ, সমৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী জ্ঞানের নতুন অধ্যায়। দৃষ্টি এখন এই প্রযুক্তিতে শুধু এগিয়ে থাকাই নয়— নেতৃত্ব দেওয়ার ।

লেখক: সিইও, পেপার রাইম।
সৌজন্যে : সমকাল

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram