সমাজের কথা ডেস্ক : দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির নতুন ১২০৯ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন আগেই কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উত্তোলনযোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১৪১২ নম্বর কোল ফেসের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুদ শেষ হওয়ায় নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থাপন কাজের জন্য ৩ মাসের জন্য কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেন নতুন কয়লা ফেজ থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা যাবে। নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন আগেই আবার নতুন ১২০৯ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলো।
<<আরও পড়তে পারেন>> ২৩ দিন পর উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির মহা—ব্যবস্থাপক (মাইনিং অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক জানান, ১৪১২ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১০ হাজার টন, সেখানে কয়লা উত্তোলন হয়েছে২ লাখ ২০ হাজার টন। নতুন ১২০৯ নম্বর ফেইজ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, একটি ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলনের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করে, নতুন ফেজে স্থাপন করতে দুই মাস সময় লাগে। কিন্তু বর্তমানে জ্বালানির চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে অতিদ্রুত (দেড় মাসের ব্যবধানে) কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, একটি ফেইজের কয়লা শেষ হলে আর একটি নতুন ফেইজ তৈরি করে কয়লা উত্তোলন করা হয়। এটি খনির একটি নিয়মিত কর্ম। একটি ফেইজ থেকে নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে তিন মাস সময় লাগে এ কারণে ওই সময় খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকে।