নড়াইল ও কালিয়া প্রতিনিধি : যুবলীগের খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ থেকে ফেরার পর নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় আজাদ শেখ (৩২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত আজাদ পেড়লী উত্তর পাড়ার সালাম শেখের ছেলে ও পেড়লী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদ শেখের ছোট ভাই। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের পেড়লী গ্রামের মোহসিন চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই প্রতিপক্ষ ভূঁইয়া ও মোল্যাদের অন্তত ৩০টি পরিবারের অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পেড়লী গ্রামের আনিসুল ইসলাম বাবু শেখ এবং প্রতিপক্ষ শহীদুল ও লাভলু ভূঁইয়ার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
গত ৪-৫ দিন আগে লাভলু ভূঁইয়া গ্রুপের লোকজনদের পেড়লী বাজার থেকে ধাওয়া করে বের করে দেন বাবু চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন। ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার যুবলীগের খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ থেকে ফেরার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আজাদ শেখ পেড়লী গ্রামের মোহসিন চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে বসে থাকা প্রতিপক্ষ লোকজন তাকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আজাদকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষ ভূঁইয়া ও মোল্যাদের অন্তত ৩০টি পরিবারের অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন শহীদুল মোল্যা, আলীম মোল্যা, জাহাঙ্গীর মোল্যা, জিন্নাহ মোল্যা, রেজাউল ইসলাম, মিটুল মোল্যা, খোকন, ওহিদুল, রাসেল, লাভলু ভূঁইয়া, আলমগীর ভূঁইয়া, অপু ভূঁইয়া, ফজলু ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পেড়লী গ্রামে যে কোন ধরনের বিশৃংখলা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।