নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল সদর উপজেলার ১২বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসাইন ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ৮জন সদস্য। রোববার দুপুরে নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফখরুল হাসানের নিকট তারা অভিযোগপত্র জমা দেন। এছাড়াও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বিছালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য পান্না বিশ^াস, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য খন্দকার মঈন উ্্দ্িদন, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য গাজী হাফিজুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আলী ইমাম সরদার, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য সাধন কুমার বিশ^াস, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য হোসনে আরা বেগম ও রাজিয়া বেগম।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্য এক বছর ধরে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত এলজিএসসপি, এডিবি, টিআর, কাবিটা, টিসিবি, ভিজিডি, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব নিজের ইচ্ছামতো ও পছন্দের লোক দিয়ে বাস্তবায়ন করছেন। পরিষদের ৮ জন্য সদস্যকে ডাকা হয় না। মাসিক মিটিং বা রেজুলেশনও করা হয় না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসাইন ফারুক বলেন, ‘ আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ স্বচ্ছতার সাথে করে যাচ্ছি। কয়েকজন ইউপি সদস্য এসব কাজের ক্ষেতে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু আমি কোন অনৈতিক সুবিধা দেইনি। যার কারনে তারা আমার বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। আর মেম্বররা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়ার কে? জনগণ যদি কখনো আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয় তাহলে পদত্যাগ করবো।’
নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বরত উপ-পরিচালক মোঃ ফকরুল হাসান বলেন,‘ বিছালী ইউনিয়নের ৮জন সদস্য উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে অভিযোগে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।