ক্রীড়া ডেস্ক : ২৬ রানে ৬ উইকেটে হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাংলাদেশ। সেখানে দাঁড়িয়ে মনোমুগ্ধকর এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন লিটন দাস। এই প্রতিরোধে লিটন যদি হোন হিরো, তবে মেহেদী হাসান মিরাজ হচ্ছেন সাইড হিরো। সপ্তম উইকেটে দুজনের রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়তে পারে। যেখানে ৫০ রান করায় শঙ্কার মধ্যে পড়েছিল, সেখানে মাত্র ১২ রান পিছিয়ে থেকে অলআউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এদিন আবরার আহমেদকে দারুণ এক শটে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে সীমানাছাড়া করে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন লিটন। শুধু তাই নয়, প্রথম ব্যাটার হিসেবে তিনি একটা রেকর্ডও গড়েছেন। ৫০ এর কম দলীয় স্কোর থাকা অবস্থায় ব্যাটিংয়ে নেমে এই নিয়ে তিনি ৩টি সেঞ্চুরি করলেন। এর আগে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯ রানে ৪ উইকেট পতনের পর লিটন খেলেছিলেন ১১৪ রানের ইনিংস। আর তার আগের সবশেষ সেঞ্চুরির ম্যাচেও বাংলাদেশ ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল। আবারও দলের সঙ্কট মোচনকারী হিসেবে নিজেকে চেনালেন এই ব্যাটার।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে থামিয়ে দিয়ে শনিবার দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। শেষ সময়টা খুব ভালোভাবে পেরিয়ে গেলেও আজ তৃতীয় দিন সকালে পাকিস্তানের দুই পেসার মীর হামজা ও খুররাম শাহজাদের বোলিং তোপে পড়ে ছয় ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানরা যখন খালি হাতে ফিরছিলেন তখন ত্রাতার ভূমিকাতে ছিলেন মিরাজ ও লিটন।
এই দুই জন মিলে রেকর্ড জুটি গড়েছেন। বিশ্ব ক্রিকেটে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর এই প্রথম দেড়শ রানের কোনও জুটি হয়েছে। রবিবার মিরাজ ও লিটন মিলে ১৬৫ রান করে দলের স্কোরকে দুইশর কাছাকাছি নিয়ে যান। টানা তিন ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে মিরাজ আউট হতেই জুটি ভাঙে তাদের। ১২৪ বলে ৭৮ রানের দারুণ লড়াকু এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।
মিরাজ সেঞ্চুরি মিস করলেও টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে লিটন তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০২২ সালের মে মাসে লঙ্কানদের বিপক্ষে আগের সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৮ ইনিংসে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি পেলেও তিন অঙ্কের ঘরে যেতে পারছিলেন না। এই সময়ে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৭৩। আজ খেললেন অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার লড়াইয়ে তার সঙ্গী দশ নম্বর ব্যাটার হাসান মাহমুদ। নবম ব্যাটার হিসেবে লিটন আউট হওয়ার আগে হাসানের সঙ্গে গড়েছিলেন ৬৯ রানের জুটি।