১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানজিম আহমদ সোহেল তাজ
ধানমন্ডি ৩২ এ অগ্নিসংযোগকারীদের বিচার চাইলেন সোহেল তাজ

সমাজের কথা ডেস্ক : ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী এই জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমি এটার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই, অতিসত্বর এই দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন পরিদর্শন শেষে ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন সোহেল তাজ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে গেলে বঙ্গবন্ধু ভবনসহ দলটির বিভিন্ন কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রথমেই সোহেল তাজ বলেন, আমি দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাসার সামনে আমি। এটি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ছিল। এই বাড়িতেই ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বিবেকের তাড়নায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বের আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বিবেক দিয়ে পরিচালিত হই। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, আমার অবস্থান থেকে যতটুকু পারি করি। সেই আবেগের কারণেই আমি এখানে এসেছি। আমি এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না যে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্বাধীনতার প্রতীক বঙ্গবন্ধু। তাকে ইতিহাসের আলোকে এবং মোড়কে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর অসম্মানের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের আগের ২৩ বছরের গণআন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে সোহেল তাজ বলেন, আজ ছাত্র-জনতা যে আন্দোলন করেছে, তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। যেখানে সবার অধিকার নিশ্চিত করা হবে, যেখানে সবার বাকস্বাধীনতা থাকবে, যেখানে মেধাই হবে মাপকাঠি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই কিন্তু সেই চেতনা। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা এই আদর্শটাকে বাস্তবায়ন করতে পারিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যারা অবদান রেখেছেন, তাদের সবার অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেন, তাদের সবার অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আবশ্যক। যেমন—হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমানসহ ১১ জন সেক্টর কমান্ডার এবং আরও অনেক হিরো, নায়ক-মহানায়ক যারা আছেন, তাদের ইতিহাস আমাদের নজুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা দরকার।

সোহেল তাজ বলেন, আমি মনে করি, এই চরিত্রদের নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক হবে না। আমাদের এই অ্যাসেট, যারা আমাদের লেগাসি, তাদের আমাদের সংরক্ষণ করে রাখতে হবে ন্যাশনাল অ্যাসেট হিসেবে। তাদের নিয়ে যাতে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে রাজনীতি না হয়, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সংরক্ষণ করায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সবার প্রতি আহ্বান, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। আমি রাজনীতিতে নেই। আমিও চেষ্টা করছি আমার অবস্থানে থেকে যতটুকু পারি বলার চেষ্টা করছি। রিরেম্বার, আমরা মরাল কম্পাস যদি হারিয়ে ফেলি তাহলে কোনও জাতি কোনও দিনও মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram