সমাজের কথা ডেস্ক : চার ইসরায়েলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর দ্য রেড ক্রস ইন গাজার সহায়তায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দু'শ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ওই জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত চার ইসরায়েলি দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য। গাজা ত্যাগের আগে তাদেরকে একটি মঞ্চে উপস্থিত করা হয়। চারপাশে ঘিরে ছিলেন সাধারণ ফিলিস্তিনি ও হামাস সদস্যরা। পরে আইসিআরসির গাড়িতে করে তাদের ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। গাড়িতে ওঠার আগে উপস্থিত জনতার দিকে মৃদু হেসে হাত নাড়তে দেখা গেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়। ওই চার নাগরিককে ফিরে পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রায় দুশ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধ শুরুর পরের মাসেই, ২০২৩ সালের নভেম্বরে শান্তিচুক্তি করা হলেও তা এক সপ্তাহের বেশি টেকেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ওই চার সেনা- কারিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা জিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগকে আটক করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলের এক সামরিক ঘাঁটিতে মুক্তিপ্রাপ্তদের সঙ্গে তাদের পরিবারের পুনর্মিলন হয়। এরপর তাদেরকে দেশের মধ্যাঞ্চলের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
ওদিকে, হামাস জানিয়েছে, দুশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে একই দিনে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এমনকি ইসরায়েলে হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিরাও মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।
গত রবিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে দ্বিতীয় দফায় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হলো। এর আগে, ৯০ জন ফিলিস্তিনির বিনিময়ে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করে হামাস।