নিজস্ব প্রতিবেদক : দৌলতদিহি গ্রামে সরকারি রাস্তা বেদখল’ হয়ে যাচ্ছে। এক ব্যক্তি ২৬ ফুট রাস্তার ১৫ ফুটই দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছে। এমনকি রাস্তার জায়গায় রাখা নদীর মাটিও ওই ব্যক্তি কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের দৌলতদিহি গ্রামের মোখলেসুর রহমান ভৈরব নদের পূর্বপাড়ের ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
ওই গ্রামের ফয়সাল হোসেন জানান, তার কারনে রাস্তা মালিকানা জমিতে হয়েছে। রাস্তা পাকা করার সময় জমির মালিক সহিদুল ইসলাম বাধা দেন। স্থানীয় মিমাংসায় সিদ্ধান্ত হয় রাস্তার জমি তারা নেবে আর তাদের জমিতে রাস্তা হবে। সে অনুযায়ী শহিদুল ইসলাম স্থানীয়দের পরামর্শে খাসজমি(রাস্তার জমি) বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করেন। সে আবেদনে ইউপি চেয়ারম্যান ও তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম সুপারিশ করেন। আবেদন গৃহীত না হলেও নিজেদের জমিতে রাস্তা দিয়ে রাস্তার জায়গা ভোগদখল করছিলেন শহিদুল ইসলাম। সম্প্রতি পাশের জমির মালিক মোখলেসুর রহমান রাস্তার ওই জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
মোখলেছুর রহমান জানান, ‘আমার এখানে জমি রয়েছে। এজন্য আমি এ রাস্তার জমি দখল করেছি। আমি স্থাপনা করছি বুঝে শুনে এবং আইন সম্পর্কে ভালো জানি।’
কাশিমপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানান, ‘আমার কাছেও কয়েকজন ফোন দিয়ে বলেছে মোখলেছ রাস্তা কেটে স্থাপনা তৈরি করছে। এ রাস্তা নিয়ে কয়েকবার ঝামেলাও হয়েছে। আমরা রাস্তার সীমানাও নির্ধারন করে দিয়েছি। কিন্তু মোখলেছুর রহমান সীমানা উঠিয়ে ২৬ ফুট রাস্তার ১৫ ফুট দখলে নিয়েছে।’
কাশিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেন টিপু জানান, ‘আমরা সবাই জানি মোখলেছুর রহমান নিজের মত করে রাস্তা কাটছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে রিপোর্টও আছে। মোখলেছুর রহমান নদীর পাড়ের মাটি কেটে ভরাট করেছে। কয়েকবার সার্ভেয়ার দিয়ে সরকারি রাস্তা মাপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গায়ের জোরে এ কাজ করছে।’
কাশিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম জানান, ‘আমার কাছে কয়েকবার অভিযোগ আসছে। কিন্তু সময়ের অভাবে সরেজমিনে যেতে পারিনি । যদি রাস্তা কাটে তাহলে আমি ব্যবস্থা নেবো। তবে শুনেছি ঐ জায়গায় একটু সমস্যা আছে।
পাঁচবাড়িয়া ভূমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন জানান, ‘জায়গাটি আমি দেখেছি, জরিপের জন্য উর্ধ্বতন অফিসে রিপোর্ট করবো।’
যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাস বিষয়টি জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।