২৪শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দৈনিক কতখানি মিষ্টি খাওয়া উচিত? 
দৈনিক কতখানি মিষ্টি খাওয়া উচিত? 
254 বার পঠিত

যে কোনো মিষ্টি ধরনের খাবার খেতে বেশ লাগে। আর চিনি দ্রুত শক্তি যোগায়। তবে সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে চিনি গ্রহণের পরিমাণ কমাতে বলায় হয়। তবে কতটা কম হলে দৈনিক গ্রহণের পরিমাণ পরিমিত হবে সেই বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জনপ্রিয় ডায়েট হল- চিনি ও কার্বোহাইড্রেইটস কম খাওয়া। তবে সব চিনি বা মিষ্টি সমান নয়।

 

এই বিষয়ে হেল্থডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ বার্বি সার্ভোনি বলেন, “অনেক খাবারেই প্রাকৃতিক চিনি থাকে। যেমন- ফলে রয়েছে ফ্রুক্টোজ, দুধে রয়েছে ল্যাক্টোজ।” আর যে চিনি খাবারে মেশানো হয় সেটা হয় প্রক্রিয়াজাত এবং মিষ্টি ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যে পরিমাণ চিনি প্রতিদিন গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয় প্রাকৃতিক চিনি গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে সাধারণ চিনির ক্ষেত্রে রয়েছে।

 

‘দি ডায়েটারি গাইডলাইন্স ফর আমেরিকান’ অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্কদের মোট ক্যালরি গ্রহণের মধ্যে ১০ শতাংশের বেশি চিনি গ্রহণ করা যাবে না। মানে- কেউ যদি ২০০০ ক্যালরি গ্রহণ করে তবে দৈনিক চিনি খাওয়ার পরিমাণ হবে ১২ চা-চামচ বা ৫০ গ্রাম।
তবে ‘দি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ)’ এই ব্যাপারে আরও কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছে। তাদের মতে মোট ক্যালরির ৬ শতাংশের বেশি চিনি গ্রহণ করা যাবে না। মানে ২০০০ ক্যালরির খাদ্যাভ্যাসে গ্রহণ করা যাবে ৬ থেকে ৯ চা-চামচ বা ৩০ গ্রাম চিনি।

‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস’ দুই বছরের নিচে শিশুদের কোনো ধরনের সাধারণ চিনি গ্রহণে নির্দেশ দেয় না। দুই বছরের ও তরুণদের দৈনিক ৬ চা-চামচের বেশি চিনি খেতে নিষেধ করে।

 

প্রাকৃতিক বনাম সাধারণ চিনি
কিছু ব্যতিক্রম বাদে, দেহ সব খাবার চিনি বা গ্লুকোজে রূপান্তরিত করে।
ফল, সবজি, পূর্ণ শষ্য ও মটরে থাকে জটিল কার্বোহাইড্রেইটস ও নানান ধরনের শ্বেতসার। আর বাজার থেকে আনা চিনি বা অন্যান্য মিষ্টি হল সাধারণ কার্বোহাইড্রেইটস।

জটিল কার্বোহাইড্রেইটস’য়ে তিন বা তারও বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে। যেমন- আঁশ। এরফলে ধীরে হজম হয়। যে কারণে রক্তে দ্রুত শর্করার মাত্রা বাড়ে না। এছাড়া এই কার্ব হজম করতে দেহ ‘শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (এসসিএফএএস) প্রস্তুত করে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।

তাই প্রতিদিন চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে সাধারণ বা কৃত্রিম চিনিতে।
তবে বেশি পরিমাণে চিনি গ্রহণ কোনো ক্ষেত্রেই উপকরী নয়। কারণ এর ফল দেখা দিতে পারে- উচ্চ রক্তচাপ, দাঁতের ক্ষয়, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ঘুম ও ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে সমস্যা, হাড় ভঙ্গুর রোগ, দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ, ক্যান্সার ইত্যাদি। #

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram