নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেন, দলের দুর্দিনে আলী রেজা রাজু রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার তুলনা তিনি নিজেই। ওয়ার্ড থেকে সংসদ, ধাপে ধাপে সব গন্ডি পেরিয়ে আপাদমস্তক রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সারাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন আলী রেজা রাজু। যশোরের সর্বস্তরের মানুষের কাছে অভিভাবক হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পেরেছিলেন বলেই, সবাই তাকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করতেন। হাজারো মহৎকর্মের মাধ্যমে তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন যশোরবাসীর হৃদয়ে।’
শুক্রবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী রেজা রাজু’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল’র আয়োজনে এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আলী রেজা রাজু সকল ক্ষেত্রে সফল, তিনি খুব সহজে নেতাকর্মীদের মন জয় করতে পারতেন। রাজনীতিতে এখন একজন আলী রেজা রাজুর বড় অভাব। আলী রেজা রাজু ছিলেন একজন পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার তুলনা তিনি নিজেই। যশোরের রাজনীতিতে আলী রেজা রাজুর শূন্যতা কখনো পূরণ হবে না। মিষ্টি হাসি দিয়ে সকলকে কাছে টেনে নিতে পারতেন আলী রেজা রাজু। সদাহাস্য এই মানুষটির উপর কেউ অভিমান করে দূরে থাকতে পারতেন না। তিনি ছিলেন সত্যিকারের জননেতা ’।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী রেজা রাজুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন ফাতেহা পাঠ, স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মিলিত হন। স্মরণসভায় আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রয়াত এ নেতাকে স্মরণ করেন নেতৃবৃন্দ।
স্মরণসভায় প্রয়াত আলী রেজা রাজু’র মেজো মেয়ে সোনিয়া রেজা বলেন, আমার পিতা (প্রয়াত আলী রেজা রাজু) সব সময় যশোরের মানুষকে নিয়ে ভাবতেন। যশোরবাসীর আপদে বিপদে তিনি সবার পাশে থাকতেন। সবাই আমার পিতার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করবেন।’
প্রয়াত আলী রেজা রাজুর ছোট জামাতা চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, আমার শ্বশুর ছিলেন আপাদমস্তক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের প্রচারণা করতে গিয়ে দেখিছি, তাকে চেনেন না এমন কোনো নেতা নেই। তার পরিচয়ে আমি গর্ববোধ করি। আমি আমার ব্যক্তি জীবনেও তাকে অনুসরণ করি সর্বক্ষণ। সবাই আমার শ্বশুরের জন্য দোয়া করবেন।’
ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, যশোর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইয়াকুব আলী মোল্যা, যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, যশোর সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জোৎস্না আরা মিলি, যশোর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী।
শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এসএম ইউসুফ শাহিদ’র পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার এম এ বাশার, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, নেতা রেজাউল ইসলাম ও মোবাশ্বের হোসেন বাবু, আলী রেজা রাজু’র মেঝো জামাতা আশিক ইমরান খান, যশোর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য আবুল হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, মশিয়ার রহমান সাগর প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন খন্দকার মাসুদ আলম।