১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দু’দিনের বর্ষণে যশোর শহরে জলাবদ্ধতা
দু’দিনের বর্ষণে যশোর শহরে জলাবদ্ধতা
41 বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে শহরের নি¤্নাঞ্চল। ড্রেন উপচে পানি প্রবেশ করেছে সড়কে। সেই পানি ঘর বাড়িতেও প্রবেশ করছে। ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে। এতে শহরের বিভিন্ন রা¯ত্মাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় ভোগাšিত্ম পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

যশোর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যশোর শহরের ড্রেনের পানি প্রবাহের পথ রম্নদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অšত্মত ২০টি সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শহরের খড়কি এলাকার শাহ আবদুল করিম সড়ক, শহরের পিটিআই সড়কের একপ্রাšত্ম, নাজির শংকরপুর, খড়কি, ষষ্ঠীতলাপাড়া, শংকরপুর চোপদারপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া, নীলরতন ধর রোডসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ময়লা আবর্জনায় ভরা নোংরা পানি সড়ক ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে বাসাবাড়িতে।

শহরের শংকরপুর এলাকার গোলাম মাজেদ বলেন, যশোর শহরের পানি নিষ্কাশন হয় শহরের দক্ষিণ পাশের বিল হরিণায়। সেখান থেকে মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়। কিন্তু গত চার বছর ধরে বিল হরিণায় পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন তা পরিষ্কার করে না পৌরসভা।

শহরে খড়কি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শাহ আবদুল করিম সড়কের সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এম এম) কলেজের দক্ষিণ ফটক (গেট) থেকে খড়কি মোড় হয়ে পীরবাড়ি, কবরস্থান ও আপন মোড়ে বৃষ্টির পানি জমেছে। ওই এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, খড়কি এলাকাটা তুলনামূলক নিচু। রা¯ত্মার পাশে পয়োনিষ্কাশনের নালা দিয়ে অন্য এলাকার পানি আসে। ওই পানি বের হতে পারছে না। পৌরসভার কাছে পানি নিষ্কাশন ও সড়ক সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয় না।
উপশহরের বাসিন্দা সাজু বলেন, উপশহরের প্রবেশদ্বার (উপশহর মহিলা কলেজ গেট) রা¯ত্মার উপরে পানি জমে রয়েছে। পানিতে ময়লা ভাসছে। দুর্গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে। পানি না নেমে স্থির হয়ে রয়েছে।’

শহরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের ভেতর দিয়ে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরী নামে দুটি নদ-নদী বয়ে গেছে। এর মধ্যে ভৈরব নদ দিয়ে শহরের উত্তরাংশ ও মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে শহরে দক্ষিণাংশের পানি নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু গত ১০ বছর শহরের দক্ষিণাংশের পানি মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে নামতে পারছে না। পয়োনিষ্কাশন নালার মাধ্যমে শহরের পানি হরিণার বিল দিয়ে মুক্তেশ্বরী নদীতে যেত। কিন্তু ২০১০ সালে হরিণার বিলে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়। এরপর আশপাশে আরও অনেক স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে বিল দিয়ে পানি আগের মতো নিষ্কাশিত হতে পারছে না। ওই পানি বের করার জন্য খালের মাধ্যমে মুক্তেশ্বরী নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। কিন্তু পৌরসভা গত ১০ বছরেও সেই উদ্যোগ নিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ চলছে। দ্রম্নত সমাধান হয়ে যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram