সমাজের কথা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হামলাসহ নানা অভিযোগ নিয়ে থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাধারণ ডায়েরি নিচ্ছে না অভিযোগ আওয়ামী লীগের। তাই নেতাকর্মীদের সদ্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়া সেনাবাহিনীর কাছে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে দলটি।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজে এক পোস্টে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
যৌথবাহিনীর অভিযানের মধ্যেই মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে আগামী ৬০ দিন সেনাবাহিনীর কাছে বিচারিক ক্ষমতা থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পরই সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিলো আওয়ামী লীগ।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আমরা সারা দেশ থেকে খবর পেয়েছি বেশিরভাগ থানাতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করতে দেওয়া হয়নি। যেহেতু সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়া হয়েছে, তাই এই অপরাধীদের থামাতে এখন সেনাবাহিনীর কাছেই অভিযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই।’
এতে বলা হয়, ‘ক্ষতিগ্রস্থ সবাই পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে জমা দিন। সেনাবাহিনীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সকল অপরাধী, লুটেরা, সন্ত্রাসীদের তারা আইনের আওতায় আনবে।’
এর আগে ফেসবুকে পেজে এক পোস্টে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের বিষয়ে থানায় মামলা অথবা সাধারণ ডায়েরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটির নেতাকর্মীদের বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের খবর এসেছে।