নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে ছাত্রলীগ কর্মী নুর মোহাম্মদ মাহিনকে (২৩) ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দড়াটানা জনতা মার্কেটের পেছনের একটি চায়ের দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাহিন হাসপাতালের পেইয়িং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে দলীয় কর্মী আক্রান্তের প্রতিবাদে রাতেই মিছিল বের করে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ কর্মী মাহিন সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ও ডা. আব্দুর রাজ্জাক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুর মোহাম্মদ মাহিন জানান, রোববার রাতে শহর থেকে কাজ শেষ করে রুহুলের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় কাজীপাড়া এলাকার সোহান, বাবুল, আজিজুল এবং অন্তুসহ ৫/৬জন তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা বিচার দাবি করেছে ছাত্রলীগ। রাতের মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান হৃদয়, মাসুদ হাসান কৌশিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহমিদ হুদা বিজয় প্রমুখ। হাসপাতালের ডাক্তার হাসিব আহম্মেদ জানান, মাইন নূর এখন আশঙ্কামুক্ত। চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, নুর মোহাম্মদ মাহিনকে (২৪) নামে এক যুবককে মারপিট এবং ছুরিকাঘাতে জখমের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলো, পুরাতন কসবা কাজীপাড়া গোলামপট্টির শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহান (২৩), মৃত লোকমান শেখের ছেলে বাবলু শেখ (২৩), একই এলাকার অন্তু (২৩) এবং সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের বাবর আলীর ছেলে সোয়াইব ইসলাম ওরফে সোয়েব পারভেজ (২৫)।
আব্দুল মজিদ এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিদের সাথে তার ছেলে পূর্ব শত্রুতা ছিলো। গত রোববার রাত ৯টার দিকে তার ছেলে দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বরের রুহুলের চায়ের দোকানের সামনে যায়। সে সময় আসামিরা তাকে ঘিরে ধরে এবং এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে।
এতে মাহিন রক্তাক্ত জখম হয়। তার পকেট থেকে আসামিরা সাড়ে ৫হাজার টাকা এবং এক ভরি ওজনের একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসালে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে মাহিনকে দ্রুত যশোরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।