সমাজের কথা ডেস্ক : থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে ৩১৯ ভোটে জয়ী হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে। এক প্রতিবেদনে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছে।
গত বছর নির্বাসন থেকে ফিরে আসার আগে, একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। নির্বাসনে থাকা পেতংতার্নের খালা ইংলাক সিনাওয়াত্রার পরে সিনাওয়াত্রা পরিবারের থেকে ওঠে আসা থাইল্যান্ডের তৃতীয় নেতা তিনি। এছাড়া, খালার পর থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রীও পেতাংতার্ন।
শুক্রবার পার্লামেন্টে ৩১৯ ভোটে জয়ী হন পেতংতার্ন। তার বিপক্ষে ভোট পড়েছিল ১৪৫টি। এসময় ভোটদানে বিরত ছিলেন ২৭ জন। এক এক করে জনসমক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়।
ক্ষমতাসীন ফেউ থাই দলের নেতা পেতাংতার্ন একমাত্র মনোনীত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পান।
নৈতিকতা লঙ্ঘনের দায়ে দেশটির সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দুদিন আগে সাংবিধানিক আদালত অপসারণ করেছিল।
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় তবে বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন। থাকসিন। ২০০৬ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তিনি ফেউ থাইয়ের একজন প্রকৃত নেতা হিসেবে জনপ্রিয়। মেয়ে পেতাংতার্নের রাজনৈতিক সমর্থনের পিছনে বাবার অবশিষ্ট জনপ্রিয়তা ও প্রভাব একটি অন্যতম ভূমিকা রেখেছে।