বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি: ত্রুটি পূর্ণ আবেদনে যশোরের বাঘারপাড়ার বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ড গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে শেষ পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল না দিয়েই কর্মকতার্রা চলে যান।
বিদ্যালয় সূত্রে জানায়, গত ২৭ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ’কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর’ পদের জন্য। পাঁচ জন প্রার্থী ওই পদের জন্য আবেদন করেন। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নিয়োগ বোর্ড গঠনের জন্য আবেদন বাছাই করেন। সেখানে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে তড়িঘড়ি করে ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বৈধ করেন।
সে অনুযায়ী গত ৪ অক্টোবর বিকালে যশোর জিলা স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ডিজির প্রতিনিধি জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ পদের ৫ আবেদনকারীর মধ্যে ৪জন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষা শেষে প্রার্থীদের সাক্ষাতকার গ্রহণের সময় আবেদনকারীদের কাগজপত্র যাচাই—বাছাইকালে দুই প্রার্থীর আবেদনপত্রে ত্রুটি ধরা পড়ে কর্মকর্তাদের কাছে। যথাযথ আবেদনপত্র না হওয়া এবং কোরাম সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করেই স্থান ত্যাগ করেন নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা। এদিকে অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ বোর্ডে বিদ্যালয়ের সভাপতি উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও এসময় তাকে দেখা যায়নি।
না প্রকাশ না করা শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছেন, এ বিদ্যালয়ের ’কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর’ পদে পছন্দের এক প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে অনেক আগে ১৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এই কারণে যোগ্য প্রার্থী থাকলেও আবেদন করেননি অনেকে। তিনি আরো বলেন, এ নিয়োগ বৈধ করতে আবেদনপত্র বাছাই ছাড়াই বোর্ড গঠন করেছেন বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।
বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পীযুষ কান্তি বিশ্বাস এ বিষয়ে বক্তব্য না দিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে মোবাইল ফোন কেটে দেন। বাঘারপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম জিল্লুর রশিদ জানান, প্রার্থীদের আবেদনপত্রে অসংগতি থাকায় নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।