সমাজের কথা ডেস্ক : বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করায় মিয়ানমারের তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার। গত মাসে কয়েকশ’ সেনাসহ চীন সীমান্তের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে জাতিগত বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণের কারণে তাদের এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি, ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
<<আরও পড়তে পারেন>> দুর্নীতির দায়ে অং সান সু চির আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক সূত্র বলেছে, লাউক্কাই শহরের কমান্ডারসহ তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর এক সামরিক সূত্রও মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কবে এই রায় দেওয়া হয়েছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি মিয়ানমারের এই দুটি সামরিক সূত্র।
এর আগে গত মাসে দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছিলেন যে, তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামরিক কাস্টডিতে রয়েছেন।
মিয়ানমারের সামরিক আইন অনুসারে, অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করার শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য জান্তা মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান প্রদেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানীর নাম লাউক্কাই। থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জোটের তিন গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সঙ্গে প্রায় এক মাস ব্যাপক সংঘাতের পর গত জানুয়ারিতে নিজেদের অধীনে থাকা সৈন্যদলসহ আত্মসমর্পণ করেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং লাউক্কাই শহরের দায়িত্বে থাকা কমান্ডার।
আত্মসমর্পণের পর সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিরাপদে লাউক্কাই ত্যাগে সহযোগিতা করেছে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এটি গত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর অন্যতম বড় পরাজয়। এ ঘটনায় দেশটিতে সমালোচনার মুখে পড়ে জান্তা।
২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে গণতন্ত্রপন্থী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মোকাবিলায় সেনাবাহিনী হিমশিম খাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।