মুজিবর রহমান (পাটকেলঘাটা) সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার তালায় কৃষকরা বোরো ধানের জন্যে আগামভাবে জমি চাষ শুরম্ন করেছেন। মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম থাকায় আমনের ফলন ভালো হয়নি। এ ড়্গতি পুষিয়ে নিতে আগেভাগে বোরোর জন্যে চাষ শুরম্ন করেছেন তারা। এ বছর কৃষকরা ব্রি-৮৮ ও ভারতীয় রডমিনিকেট জাতের ধান চাষের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন। তবে অন্য জাতেরও বেশ কিছু ধান চাষ হচ্ছে বলেও জানাগেছে। ইতোমধ্যে অনেকই বীজতলা তৈরি করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়াতে কৃষক উঁচু জমিতে আগেভাগেই চাষ শুরম্ন করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সব এলাকায় আমন ধান কাটা শেষের পথে। নিচু জমিতে বীজতলা তৈরি করে অনেক কৃষক আগাম চারা তৈরি করে জমি চাষ শুরম্ন করেছেন। অনেক কৃষক মৎস্য ঘেরে মাছ ধরার পর ধান রোপণ করবেন। তারা দেরিতে বীজতলা তৈরির কাজ করছেন। সবমিলিয়ে উপজেলায় সর্বত্র চাষাবাদে ব্য¯ত্ম সময় পার করছেন কৃষকরা।
পাটকেলঘাটার তৈলকুপি গ্রামের কৃষক আমান সরদার জানান, গত বছর ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ রোপণ করছেন। তাছাড়া এলাকার কৃষক ব্রি ধান-৮১, ৮৮, ৬৩ ও হাইব্রিড-শক্তি-২, তেজ গোল্ড ব্র্যাক-১৭, রড মিনিকেট, শুভলতা জাতের ধানের বীজতলা তৈরি করছেন। তিনি আরও জানান, নিজেদের জমি ও নিজস্ব ব্লক থাকায় আগাম চাষ শুরম্ন হয়েছে। কৃষক আজিবার রহমান বলেন, তার নিজের জমি নেই, বর্গাচাষ করেন। চারা তৈরির জন্যে বীজ তলা করেছেন। তিনি জানান, ডিজেলের দাম বেশি হওয়াতে এবার রোপণ পর্যায়ে বিঘাপ্রতি খরচ হবে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ পাল বলেন, তার ব্লকে কৃষকদের সুষম মাত্রা সার ব্যবহার, জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ, পোকামাকড় দমনসহ কৃষকদের নানাবিধ পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম বলেন, উপজেলার শতকরা ৮০জন মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাছাড়া ধানের বাজার দর বেশি হওয়াতে কৃষক তার চাষযোগ্য জমির সবটুকু চাষাবাদ করছেন।