সমাজের কথা ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নিজের ফিটনেস নিয়ে স্বচ্ছ বার্তা দিয়ে কী বিপাকেই না পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। অধিনায়ক বলেছিলেন, তিনি শতভাগ ফিট নন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সেদিন অধিনায়ক তামিমের সমালোচনা করেছিলেন অমন কথা বলায়।
বাঁহাতি এ ওপেনার মুখ ফসকে বলে ফেলেন এখনও শতভাগ ফিট নন তিনি। পুরোনো কথা মনে পড়ে যাওয়ায় মুহূর্তে নিজেকে শুধরে নেন। আসলে এ মুহূর্তে তামিমের সত্য ভাষণ বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালবে না। বরং চোট পরিচর্যা করে খেলায় ফেরা বাঁহাতি ওপেনারকে ধাপে ধাপে সেরা ছন্দে দেখতে চাইবে সবাই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে বিশ্বকাপ দলের সঙ্গী হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। যেটা দলের জন্যও স্বস্তির।
অবসর ঘোষণা, প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, কোমরের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সহজ ছিল না। তামিম সেটা দ্রুততম সময়েই করতে পেরেছেন। অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার দিন বলেছিলেন, নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরতে চান। বিসিবির চিকিৎসকদের সহায়তায় সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন তিনি।
কিউইদের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে তাঁর। ৫৮ বল খেলে ৭টি চার মেরে বাঁহাতি এ ওপেনার টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের বার্তা দেন ওপেনিং স্লটে তাঁকে রেখে বাকি পরিকল্পনা সাজাতে। প্রত্যাবর্তনের অভিজ্ঞতাগুলো ম্যাচ—পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তামিম, ‘মাঠে ফিরে ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচে ৩০ ওভারের মতো ফিল্ডিং করেছি। আজ ৫০ ওভার মাঠে ছিলাম। এ ছাড়া ব্যাটিং করেছি ২০ ওভারের মতো। ফিরে ভালো লাগছে। তবে এখনও পেছনে বেশ ভালো অস্বস্তি রয়েছে।’
লিটন কুমার দাসের জুটিতে ওপেন করতে নেমে তামিম ইকবাল স্ট্রাইক নেন প্রথম বল থেকে। শুরুতে খুব সাবধানী ছিলেন তিনি। সময় নিয়ে থিতু হয়ে হাত খোলেন। বিশ্বমানের বোলিং মোকাবিলা করে দারুণ কিছু শট খেলেন ৩৪ বছর বয়সী এ ব্যাটার। তাঁর মতে, ‘সত্যি কথা বলতে আমি নার্ভাস ছিলাম। যদি বলি যে এটা জাস্ট আরেকটা ম্যাচ, তা বলা যাবে না। শেষ কয়েক মাসে যেসব ঘটনা ঘটেছে, ব্যাটিংয়ে নামার সময় আমি নার্ভাস ছিলাম। তবে প্রথম ওভার শেষে সেটা কমে গিয়েছিল, যা স্বস্তির ছিল। এ ছাড়া ব্যাটিংকরে আনন্দ পাচ্ছিলাম।’
হাফ সেঞ্চুরি না পেলেও একটা ভালো শুরু দেন তামিম। কিন্তু বাকি ব্যাটাররা সেভাবে খেলতে না পারায় নিউজিল্যান্ডের ২৫৪ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয় দল। তামিম মনে করেন আরেকটু পরিকল্পিতভাবে খেলা গেলে ম্যাচটি জেতা যেত, ‘যে ধরনের উইকেট ছিল, তাতে ২৫৫ রান করা সম্ভব ছিল। সঙ্গে এটাও বলব, আমরা ওদের ২১০—২১৫ এর ভেতরে আটকে দিতে পারতাম। যেভাবে আমরা আউট হয়েছি, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। এমন না যে খুব ভালো বোলিং হয়েছে, আমরা আসলে আউট হয়ে গেছি।’