এক ঘুমে যদি শীতটা কেটে যেতো;
ফাগুন আসতো-
আঁধার ধুয়ে যেতো, স্বপ্ন জলে খেলতো বুনো হাস
ক্ষয়ে যাওয়া জীবন ফিরে পেতো-
তাজা ফুলের ঘ্রাণ!
তারারা প্রহরী হতো ঘুমের রাজ্যে
শিশুর মায়ের মতো-
হাত বুলিয়ে চুমে দিতো চাঁদ মামাকে
সোনা গালটা ভরে
প্রিয়তমার সিক্ত কেশ ছঁয়ে যেতো শীতের রোদ্দুর...
ঘুম প্রহরী, ঘুম বিশ্বস্ত বন্ধু
ক্লেদ, কাদা সরিয়ে জীবনের পথে
ধুলো বুনে দেয় ঘুম
হোক সেটা সাময়িক
তবুও জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জুড়ে
বিষবাষ্প উড়িয়ে কচি ফুল-পাতার-
ঘ্রাণ এনে দেয় নাকের ডগায়
অমৃত লাভে ধন্য হয় প্রাণ
অমানিশার ঘোর অন্ধকারে কে যেনো মেলে ধরে আলোর রুমাল
ঘুম মানুষের জন্মের অধিকার-
প্রকৃতির অকৃত্রিম বন্ধু
সেই স্বপ্নময় ঘুমটুকু কেড়ে নিলে মানুষ কী নিয়ে বাঁচে?
সেই জানে, যার ঘুম-তন্দ্রাহীন রজনী কাটে-
নির্জন একলা নীড়ে!
ধূসর হয়ে ওঠে ধরণী
যে বিরহ আঁচ করে আমার পরম মমতার জননী।