নিজস্ব প্রতিবেদক : টিসিবির সয়াবিন তেল খোলা বাজারে বিক্রির সাথে জড়িত ডিলার গৌরাঙ্গ পাল বাবু ১২ দিনেও আটক হয়নি। মামলার তদšত্ম কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ির এসআই জাকির হোসেন জানিয়েছেন পলাতক বাবু পালসহ অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গত ২৭ ফেব্রম্নয়ারি রাতে যশোর শহরের বড় বাজার হাটচান্নী মার্কেটের আলু পট্টি থেকে বাজারে বিক্রিয় নিষিদ্ধ ১০৮ বোতল সিটিবির সয়াবিন তেল উদ্ধার করে প্রশাসন।
যশোর বড় বাজারের হাটচান্নী মার্কেটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গৌরাঙ্গ পাল বাবু বাজারে বিক্রয় নিষিদ্ধ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র ডিলারশীপ পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন পণ্য চোরাই পথে বিক্রয় করে আসছিলেন।
তবে ওই পণ্যগুলো অধিকাংশই হাটচান্নী মার্কেটের সভাপতি ইয়াছিন আলী ও একই বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ক্রয় করতেন। সরকারিভাবে ওই পণ্য প্রদানের নির্দেশনা আসা মাত্রই ট্রাক ভর্তি সয়াবিন তেল, চিনি ও মশুরীর ডাল মার্কেটের সামনে আনলোড করা হতো। তবে ওই পণ্য গুলো ইয়াছিন আলী, মোহাম্মদ আলী এবং রেজাউল ইসলাম ক্রয় করতেন। এইভাবে দীর্ঘদিন ধরেই বাবু পাল টিসিবির প্রকৃত হকদার বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু গত ২৭ ফেব্রম্নয়ারি রাতে সাপে বর হয়েছে।
বাবু পালের বিক্রি করা পণ্য রেজাউল ইসলামের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই মুহুর্তে তথ্য না থাকায় ইয়াছিন আলী ও মোহাম্মদ আলী থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। পরদিন তাদের দোকানে থাকা সকল পণ্য সরিয়ে ফেলেছেন বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে।
এই ঘটনায় মামলা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন ওই পণ্যের ডিলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি গৌরাঙ্গ পাল বাবু। তাকে আটকের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মামলার তদšত্ম কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই জাকির হোসেন।
গত ২৬ ফেব্রম্নয়ারি ঝিনাইদহের সরকারী গোডাউন থেকে মেসার্স লোকনাথ ভান্ডার নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে টিসিবির পণ্য বিতরণের জন্য পণ্য উত্তোলন করেন বাবু পাল। ২৭ ফেব্রম্নয়ারি ওই পণ্য বিতরণকালে কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণ না করে চোরাই পথে বিক্রি করে দেন বাবু পাল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন ওইদিন রাতেই ১০৮ বোতল সয়াবিন তেল উদ্ধার করে। তবে দুই বোতল খালি ছিল বলে জানা গেছে। ১০৬ বোতলে ২১২ লিটার সয়াবিন তেল ছিল।
এই ঘটনার মামলায় পিতা রেজাউল ইসলাম ও পুত্র দাউদ হোসেনসহ আটক দুইজন এখনো জেলহাজতে আটক রয়েছেন।