সমাজের কথা ডেস্ক : দেশে ভয়াবহ বন্যা কবলিত মানুষের জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি চলছে। রোববার (২৫ আগস্ট) কর্মসূচির চতুর্থ দিনেও ত্রাণ দিতে আসা মানুষের ভিড় কম ছিল না।
গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিএসসির বুথে ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৬০৩ টাকা জমা হয়েছে। এসে বিপুল ত্রাণ দ্রব্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও একই তথ্য জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক,ভ্যান ও রিকশা করে ত্রাণ নিয়ে ঢাবিতে আসছে লোকজন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে নগদ অর্থ ও ওষুধ টিএসসি বুথে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জায়গা সংকুলানের জন্য বাকি ত্রাণ দ্রব্য ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গ্যালারিতে রাখা হচ্ছে।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে শুকনা খাবারের পাশাপাশি চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এসেছে। আর এসব ত্রাণসামগ্রী প্রক্রিয়াকরণে রয়েছে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
ঢাবির বিভিন্ন হলে হলে ঘুরে বিপুল ত্রাণ দ্রব্য জমা হতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরাও মাঠ পর্যায়ে ঘুরে অর্থও সংগ্রহ করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, জমা হওয়া নগদ অর্থের পরিমাণ ৪ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৬৯০টাকা; মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ১২০ টাকা এবং ব্যাংকিং মাধ্যমে ২১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৩ টাকা। ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ সংগৃহীত ফান্ড থেকে ৩০ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ টাকা ব্যয় হয়েছে।
কী কারণে এ অর্থ ব্যয় হয়েছে তাও জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা বলেছে, ত্রাণের জন্য জমা অর্থ থেকে যা খরচ হয়েছে তা দিয়ে নেতৃবৃন্দ বন্যাকবলিত জেলায়গুলোয় সশরীরে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। ঢাবির টিএসসি থেকে সংগৃহীত ও ক্রয়কৃত সামগ্রী দিয়ে একেকটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাদ্য এবং ওষুধের প্যাকেজ তৈরি করা হয়। এরকম ৮০০ থেকে ১০০০ প্যাকেজ ও অন্তত ৩০ কেস পানি দিয়ে একটি ট্রাক পরিপূর্ণ করা হয়।
বন্যাকবলিত এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পঞ্চাশ ট্রাকের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে হেলিকপ্টারযোগে তিন হাজার প্যাকেজ ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বন্যার্তদের ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।