১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাটের অলিতে গলিতে হাঁটু পানি
টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাটের অলিতে গলিতে হাঁটু পানি

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে গভীর নি¤্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকুল জুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় ভারীবৃষ্টিপাতে জেলার নি¤্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌর শহরের বেশিরভাগ এলাকার অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিড়ম্বনায় পড়েছে শহর ব্যবহারকারীরা। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নি¤্নআয়ের মানুষ। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলার মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও কচুয়ার নি¤্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে অনেকের মাছের ঘের ডুবে ভেসে গেছে মাছ। শুক্রবার গভীর রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী রোড, রেল রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, পিটিআই মোড়, খ্বারদার স্কুল রোড, জেলা হাসপাতাল মোড়, জেলা ডাকঘরের সামনে, বাসাবাটি, মিঠাপুকুরপাড় মোড়, পৌরসভার পাশে, জাহানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগাšিত্ম বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।

এদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়ার বেশকিছু এলাকায় মৎস্যঘের ডুবে মাছ বের হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি আরো দু-একদিন স্থায়ী হলে এসব এলাকার বেশিরভাগ ঘের ডুবে যাবে বলে দাবি মাছ চাষীদের। বাগেরহাট মিঠাপুকুরের কচুরিপানা ভেসে আসছে পাকা সড়কে ও বাসাবাড়িতে।
রিক্সা চালক এনামুল বলেন, ‘শহরের রাস্তাগুলো ভাঙাচোরা। একদিকে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাট বেহাল দশা। অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি জমে যায়। ইনকাম করতে কষ্ট হয়। বৃষ্টিতে মোটর নষ্ট হয়ে যায়। ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে কষ্ট হয়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে দুর্গন্ধ হয়। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’

লিটন নামের এক ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাগাতার বৃষ্টিতে পৌরশহরের প্রায় সকল অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়। দ্রম্নত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

শহরের রেলরোড এলাকার রফিক বলেন, বৃষ্টি হলে দেখা যায় সেই পানি নামতেই তিন চারদিন লাগে। এই বর্ষাকালে রাস্তা দিয়ে চলার উপায় নেই। তার ওপর এখন ড্রেনের কাজ শুরু করছে। দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।
বাগেরহাট শহরের অটো চালক মামুন ইসলাম বলেন, দুই দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার পরেও, বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি। রা¯ত্মাঘাটগুলো গর্ত হয়ে গেছে, পানিতে পাকা সড়কে গর্ত দেখা যায় না। তারপরও খেটের তাগিতে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। লোকজন নেই, তারপরও দুই চারজন যা পাচ্ছি এই দিয়েই সংসার চালাতে হবে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, পশুর নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাক তাহলে নদীর পানি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, নি¤্নাচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাস অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে ১১৫মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram