# কাউন্সিলরের অফিস থেকে মদসহ মদ্যপ অবস্থায় আটক কাউন্সিলর # সরকারি অফিসে বাহিনীসহ হানা দিয়ে হুমকি ধামকি ভয় ভীতি প্রদর্শন
নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে কঠোর অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত দুই ‘বড়ভাইকে’ আইন—শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত দু’জন হলেন, যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেল। পৃথক অভিযানে তাদের ছয় সহযোগীও গ্রেফতার হয়েছেন। বুধবার দুপুরে ও রাতে পৃথক অভিযানে তারা গ্রেফতার হন।
এর মধ্যে বুধবার রাতে যশোরে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হাসান মিলন ওরফে টাক মিলনসহ চারজনকে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ তার কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করেছে। আর বুধবার দুপুরে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ চার ক্যাডারসহ গ্রেফতার হয়েছেন সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে আবারো হানা দিয়ে।
<<আরও পড়তে পারেন>> ওয়ানশুটারগানসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, যশোরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থায় যশোর পুলিশ—র্যাব ও ডিবিসহ আইন—শৃঙ্খলা বাহিনী নড়চেড়ে বসেছে। গত কয়েকদিন কঠোর অভিযানে মাঠে রয়েছে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্র জানায়, যশোরে পৌর কাউন্সিলার জাহিদ হাসান মিলন ওরফে টাক মিলনসহ চারজনকে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ আটক করেছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে শহরের পালবাড়ি কাঁচা বাজার এলাকার টাক মিলনের নিজ কার্যালয়ে থেকে তাদের আটক করা হয়।
টাক মিলনের সাথে আটক তিনজন হলেন, শহরের টালিখোলা এলাকার আকবার আলী ছেলে দস্তগীর, কদমতলা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও টালিখোলা এলাকার আব্দুল গফফারে ছেলে মারুফুজ্জামান।
পরে পুলিশ আটককৃতদের নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে যায়। সেখানে মদ্যপদের ওয়াশ করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে তিন বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
এছাড়াও টাক মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (অপারেশন্স) বিশ্বাস জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঁচা বাজার সংলগ্ন জনৈক ওয়াহিদের ভাড়া দেওয়া ভবনে অবস্থিত ইন্টারনেট ব্যবসার অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে কয়েকজন বসে মদ সেবন করছিলেন। পুলিশ সেখান থেকে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলনসহ ৪ জনকে আটক করে। এছাড়া ওই অফিসের ভেতর থেকে কয়েক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার দুপুরে যশোরের বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ চার ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যশোর সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে আবারো হানা দেওয়ার ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত বছর (২০২৩ সাল) ৫ মার্চ সরকারি ওই কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও কর্মচারীকে মারপিট করেছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ তার ক্যাডাররা। ওই ঘটনায় জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ থানায় মামলা করলে ম্যানসেলকে কয়েক মাস হাজতবাস করতে হয়। ‘জোর করে’ সেই মামলা প্রত্যাহারের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করাতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ওই অফিসে ফেন হানা দেন ম্যানসেল।
যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেল যশোর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছর ওই হামলার পর দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। যশোর সদর আসনের এমপি আশ্রিত সন্ত্রাসী ম্যানসেলের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ দেড় ডজন মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৫ মার্চ সন্ত্রাসী ম্যানসেল যশোর শহরের মুজিব সড়কের সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে যান। তাকে সেবা দিতে দেরি হয়েছে এই অযুহাতে ম্যানসেল ও তার ক্যাডাররা ওই অফিসের কর্মচারী আল আমিনকে মারপিট এবং জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণকে লাঞ্ছিত করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ম্যানসেলসহ চার ক্যাডারকে গ্রেফতার করে। পরে জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিটও দাখিল করেছে।
সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন সন্ত্রাসী ম্যানসেল। একাধিক দিন ম্যানসেল তার ক্যাডারদের তার অফিসে পাঠিয়েছেন আপোষ মীমাংসার এফিডেভিটের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি রাজী হননি। বুধবার ম্যানসেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ফের সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে হানা দেন।
এ সময় তিনি আপোষ মীমাংসার কাগজে স্বাক্ষর করার জন্য মুনা আফরিনকে ভয় ভীতি দেখান। এই খবর পেয়ে পুলিশ ওই অফিসে হানা দিয়ে ম্যানসেলসহ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা সবাই পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। এদের নামে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাসহ মামলা রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ৫ মার্চ জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে হামলা, শ্লীলতাহানি ও চাঁদার দাবিতে কর্মকর্তা—কর্মচারীদের মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় যশোর জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকতা মুনা আফরিণ কোতয়ালি থানায় দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এই ঘটনায় তৎকালীন যশোর শহর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহবুব রহমান ম্যানসেলসহ চারজনকে আটক করেছিলো পুলিশ।
এরপর তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো পুরোনো পেশায় ফিরে যান। ইতিপূর্বে ‘কথিত ক্রসফায়ারে’ তিনি এক পা হারালেও থেমে থাকেনি তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এরই মধ্যে ম্যানসেলসহ তার সহযোগিরা বিভিন্নভাবে জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকতা মুনা আফরিণকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে।
এর ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ম্যানসেল ও তার সহযোগী অভি দলবলসহ যশোর জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকতার কার্যালয়ে আবারও হামলা চালায়। এসময় তারা মামলার আপোষ মীমাংসা সংক্রান্তে কম্পিউটার টাইপকৃত লেখা ১০০ টাকা মূল্যের একটি ও ৫০ টাকা মূলের একটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প—এ জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে।
তারা জোর পূর্বক জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকতা মুনা আফরিণকে মামলার আপোষ নামার এফিডেভিট কপিতে স্বাক্ষর করতে বলে এবং তার নামে দায়েরকৃত মামলার খরচ বাবদ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইসাথে স্বাক্ষর না দিলে ম্যানসেলের সহযোগী অভি (২৫) তার হাতে থাকা বার্মিজ চাকু দিয়ে কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
একপর্যায়ে ডিবি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয় এবং উলি¬খিত নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ও একটি বার্মিজ চাকুসহ ম্যানসেল ও তার সহযোগী শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে অভিকে গ্রেফতার করে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র থেকে ম্যানসেলসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ।
জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ জানান, সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জন্য ম্যানসেল চাপ দিচ্ছিলেন। এমনকি তিনি আপোষ মীমাংসার কাগজ তৈরি করে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য তার অফিসে হানা দেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে, পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জাহিদ হাসান মিলন ওরফে টাক মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে দুবাই চলে যান তিনি। নাগালের বাইরে থাকায় তখন গ্রেফতার করতে পারেনি যশোরের পুলিশ। অবশেষে দুবাই থেকে দেশে ফেরার পথে টাক মিলনকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতার করে। সে সময় তার গ্রেফতারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করে নির্যাতিত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অভিযোগ রয়েছে, ওই হত্যাকাণ্ডের মূলপরিকল্পনাকারী টাক মিলন। ওই মামলায় আটক এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে টাক মিলনের নাম উঠে আসে। এই মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি তিনি। এছাড়াও একাধিক মামলা, অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
টাক মিলন যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ইজিবাইক, ট্রাকে ব্যাপক চাঁদাবাজি, এলাকার মানুষের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও পালবাড়ির রয়েল কমিউনিটি সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো (জুয়া) ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারির সামনে মানিক ওরফে ডিম মানিককে হত্যা করা হয় টাক মিলনের নির্দেশে।
রুহুল নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার পর শহরের কাজীপাড়া তেঁতুলতলা নদীর পাড়ে পুতে রাখা হয়। কাজীপাড়া এলাকার শিমুলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে টাক মিলনের ক্যাডার বাহিনী। বছর খানেক পর শিমুল মারা যান। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিয়াদ হত্যার মূলপরিকল্পনাকারীর মধ্যে মিলনের নাম রয়েছে।
শুধু খুন নয়, চাঁদাবাজি, জুয়া, টেন্ডারবাজি, বোমাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে টাক মিলন ও তার ক্যাডার বাহিনীর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শহরের পালবাড়ি মোড়ের রয়েল কমিউনিটি সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে টাক মিলনের নেতৃত্বে ওয়ান—টেন জুয়ার আসর পরিচালিত হয়েছে। যশোরের ইয়াবার ডিলার হিসেবে পরিচিত টাক মিলন।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দফতরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন মিলন। তার ইশারা ছাড়া কেউ টেন্ডারে অংশ নিতে পারেন না। শহরের ইজিবাইক চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের মূলহোতা এই টাক মিলন। রেজিস্ট্রি অফিসসহ সব সরকারি অফিসে টাক মিলনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সবাই।
আর শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলের বিরুদ্ধে রয়েছে দেড় ডজন মামলা। ২০০৮ সালে পুলিশের কথতি ক্রসফায়ারে ম্যানসেল ডানপায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতো। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে কখনো বেরিয়ে আসেনি। বরং তার পায়ে পুলিশ গুলি করার পর ম্যানসেল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
২০১০ সালের দিকে তৎকালীন যশোর সদরের এমপি খালেদুর রহমান টিটোর হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে। পরবর্তীতে যশোর সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগ নেতা কাজী নাবিল আহমেদ। ম্যানসেল কাজী নাবিল আহমেদের গ্রুপে যোগ দিয়ে তার ছত্রছায়ায় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রায় দুই বছর আগে কাজী নাবিল আহমেদের আশীর্বাদধন্য হয়ে ম্যানসেল শহর যুবলীগের কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ লাভ করেন। কিন্তু সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে হামলা ও কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় কারাগারে যাওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।