নিজস্ব প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৩ যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো-ঝিনাইদহ পৌর এলাকার খাজুরা পূর্বপাড়ার মৃত মন্তেজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া, খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়ার মন্টু মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন ও খাজুরা শেখ পাড়া গ্রামের জাফর উদ্দিনের ছেলে মন্নু মিয়া।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামের ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। ঘুম থেকে উঠে মা’কে না পেয়ে বাড়ির পাশে একটি মোড়ে যায়। সেসময় একই এলাকার বাদশা তাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে বাদশা, রুহুল আমিন ও মনু মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তামান্ন পার্কের একটি ঘরে আটকে রাখে। রাত ১২টার দিকে ছাড়া পেয়ে মেয়েটি বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পিতা বাদী হয়ে পরদিন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলার অভিযুক্ত বাদশা, রুহুল আমিন ও মনু মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেয়। একই সাথে প্রত্যেকেকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে ট্রাইট্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি (পিপি) বজলুর রহমান জানান।
আইনজীবী বজলুর আরও জানান, আসামি রুহুল আমিন ও মনু মিয়া দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ডিএনএ পরীক্ষায় আসামিদের নমুনা পাওয়া যায়।