রবিউল ইসলাম, রাজগঞ্জ : কপোতাক্ষ নদের দ্বিতীয় ধাপের খনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দারা। তারা বলছেন নদী খনন করার নামে তাদের উচুজমি কেটে ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে। যে কারণে নদীপাড়ের মানুষ আতঙ্কে আছে। প্রতিকার চেয়ে নদীপাড়ের বাসিন্দারা সরকারের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন।
তীরবর্তী জায়গা দখল, পলি জমে ভরাট মৃতপ্রায় কপোতাক্ষ নদ খনন শুরু হওয়ায় আশাবাদী হয় নদ পাড়ের মানুষ। কিন্তু এই খনন কাজ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে বাসিন্দাদের। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ- ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত জায়গা খনন না করে, তাদের নিজেরদের খেয়াল খুশিমতো ঝাঁপা গ্রামের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ব্যক্তি মালিকানা উচুজমির মাটি কেটে ক্ষতি সাধন করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঝাঁপা গ্রামের নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
ঝাঁপা গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে সুরত আলী জানান- পানি উন্নয়ন বোর্ড খননকৃত নদীর প্রস্ত ৩০ থেকে ৩৫ মিটার নির্ধারণ করে দিলেও, নদীর একপাশের একটি মাছের ঘের টিকিয়ে রেখে অন্য বাসিন্দাদের উচুজমি এসকেভেটর মেশিন দিয়ে কেটে ক্ষতিসাধন করছে খননকারিরা। তারা জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার ও চালক এ ধরনের অনিয়ম করে এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে।
ক্ষতিগ্র¯ সুরত আলীসহ আরও কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা জানান- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসকেভেটর মেশিন দিয়ে দায়সারাভাবে নদী খনন করছে এবং আমাদের উঁচু জমির উপর দিয়ে নদীর বাঁধ নির্মাণ করবে যাতে তারা নদীর গভীরতা বেশি দেখিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে পারে।
তারা আরও জানান- আমরা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ছাড়াও সংশি¬ষ্ট ১০টি দফতর বরাবর আবেদন জানিয়েছি।
আবেদনে তারা কপোতাক্ষ নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ক্ষতি না করা, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদী খনন করা এবং সকল অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখার আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়টি গত ২৩ ডিসেম্বর সরেজমিন তদন্ত করেছেন যশোর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান পিয়াল। তিনি বলেন- অভিযোগকারী বাসিন্দাদের জমি সরকারি আমিন দিয়ে সিএস ম্যাপ দ্বারা পরিমাপ করা হবে।