সমাজের কথা ডেস্ক : সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্পট এবং বনের অভ্যন্তরে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কয়েক ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন।
গতকাল দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এ বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির, হরিণ, কচ্ছপ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণীর তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বন বিভাগ। তবে করমজলে পানি বাড়লেও তাতে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি পর্যটকদের। বরং পর্যটকরা জোয়ারের পানিতে ভিজে বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেছেন।
এদিকে সুন্দরবনের কটকা ও কচিকালী এলাকা ৪ ফুট পানিতে তলিয়েছে। পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরও।
অপরদিকে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন উপকূলের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও চিংড়ি ঘের। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আজাদ কবির বলেন, বনের অভ্যন্তরে পানি আরও বেশি হলেও তাতে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না বন্যপ্রাণীর।
কারণ ঝড় জলোচ্ছ্বাসে বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ের জন্য বনের ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু টিলা তৈরি করে রাখা হয়েছে। পানি বাড়ায় বন্যপ্রাণী সেসব টিলায় আশ্রয় নিয়ে থাকে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তবে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশি—বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই—খালাস ও পরিবহনের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের কন্ট্রোল রুম স্টাফ সৈকত বর্মণ।