এস হাসমী সাজু : যশোর পৌরসভার পাম্প কিংবা পানির ট্যাংকে নয় ডায়েরিয়ার জীবাণু মিলেছে বাসাবাড়িতে সরবরাহকৃত পানিতে। আইইডিসিআর গবেষক দলের অনুমান পাইপ লাইনের ত্রুটি জনিত কারণে সংক্রামণ ব্যাধি ডায়রিয়ার ছড়িয়েছে।
গত এক সপ্তাহ আইইডিসিআর গবেষক দল পৌরসভার পানির ট্যাংকি, বাড়ির সাপ্লাই পানি, বাজারের তরমুজ পরীক্ষা করে। গত বৃহস্পতিবার তদন্ত শেষে করে শনিবার ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পূর্বে রোগতত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) গবেষক দলের প্রধান ডাক্তার জেবুন নেছা প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুণ অর রশিদ।
এদিকে গত ৩/৪ দিনে সংক্রামণ ব্যাধি ডায়রিয়ার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ২৯জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধুমাত্র শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পযন্ত (৮ঘণ্টায়) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২জন শিশু, মহিলা ও পুরুষ রোগী।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুণ অর রশিদ জানান, গত ২০ মার্চ জেলায় ডায়রিয়া সংক্রামণ বাড়তে শুরু হরে। হঠাৎ করে জেলায় সংক্রামণ দেখা দেওয়ায় কারণ নির্ণয়ের জন্য ঢাকা রোগতত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআ) থেকে ৯ সদস্যের একটি গবেষক দল যশোরে আসেন। তারা ১এপ্রিল কাজ শুরু করেন। তারা যশোর পৌরসভার ৯টি ট্যাংক, ৫টি পাম্প এবং ৭টি বাড়ির পানি পরীক্ষা করেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তার স্বজনদের বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা করেন। গত এক সপ্তাহ পরীক্ষা শেষে শনিবার ঢাকা যাওয়া পূর্র্বে প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন পৌরসভার সাপ্লাই লাইনের পানিতে সংক্রামক পাওয়া গিয়েছে। তবে পাম্প ও পৌসভার পানির ট্যাঙ্কিতে কোন সংক্রামক পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার যশোর গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল দফতর থেকে একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাতে পৌরসভার পানিতে কোন সংক্রামক পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আইইডিসিআর গবেষক ডাক্তার জেবুন নেছার জানান, গত এক সপ্তাহ শহরে ধর্মতলা, আরবপুর, খুলনা স্ট্যান্ড এবং শংকরপুর এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি পানির পাইপ লাইনসহ বিভিন্ন জিনিস পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানিয়েছি। এবাদে আগামী মঙ্গলবারে অফিসিয়াল প্রতিবেদন কেন্দ্রে জমা দেব। ওই প্রতিবেদনে বিস্তারিত থাকবে।