সমাজের কথা ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘রোজার মাসে কিছু মহল দাম বাড়িয়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে এবার যারা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ রবিবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘রমজান নিয়ে যে চিন্তা, কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। আর কিছু মহল চেষ্টা করে সুযোগ নেওয়ার। যেভাবে দাম ধরে রাখা যায় সেই চেষ্টা করব। প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দরকার হলে আমদানি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ডলারের ওপর নির্ভর করে আমরা বসে নাই। মাল্টিকারেন্সির দিকে যাচ্ছি।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় সরকার। কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, আর্থিক জরিমানা, ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিলের মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই, তবে কিছু মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারসাজির কারণে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। সরকার এ বিষয়ে অচিরেই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে লাইসেন্স বা ছাড়পত্র বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘গত বছেরের চেয়ে রমজানে প্রয়োজনীয় আটটি পণ্যের ১০—১৫ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছে। ডলার সঙ্কট নেই বলেই গতবারের চেয়ে বেশি পণ্যের এলসি খোলা সম্ভব হয়েছে।’
এর আগে, বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের খোলা বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।