সমাজের কথা ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু ও কাশ্মীরে যাবেন, এমন খবরের মধ্যেই নিজের শক্তির জানান দিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। শুক্রবার জম্মুর কিস্তাওয়ারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই সেনা নিহত হন। এরপর শনিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, উত্তর কাশ্মীরের জেলা বারামুল্লার পাট্টান এলাকার চক তাপের কেরীরিতে শুক্রবার রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুক লড়াই শুরু হয়েছিল। সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অবস্থান করছে গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবর পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি দল যৌথ অভিযান শুরু করে। শেষ খবর পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তারা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ওই বাহিনীর একটি তল্লাশি দলের ওপর গুলিবর্ষণ করলে তারাও পাল্টা গুলি করে। শনিবার সকালে বন্দুকলড়াই চলাকালে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় বিশাল এক জনসভা দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন মোদী। তার কয়েক ঘণ্টা আগে ওই বন্দুক লড়াই শুরু হয়। মোদীর জনসভা উপলক্ষ্যে ডোডায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ৪২ বছরের মধ্যে এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী ডোডায় গেলেন।
এর একদিন আগে কিস্তাওয়ারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই সেনা নিহত ও আরও দুইজন আহত হন। নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান শুরু করার পর কিস্তাওয়ারের চাতরুতে বন্দুক লড়াই শুরু হয়।
শুক্রবার কাঠুয়ায় পৃথক আরেকটি বন্দুক লড়াইয়ের ঘটনায় আরও দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছিল। এই নিয়ে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে দুই সেনা ও পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদীসহ সাতজন নিহত হল।
জুলাইয়ে কিস্তাওয়ারে বিচ্ছিন্নবাদীদের গুলিতে চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছিল । সেনাবাহিনীর নিহত এ সদস্যদের মধ্যে একজন কর্মকর্তাও ছিলেন। ১৮ সেপ্টেম্বর বিধান সভা নির্বাচন সামনে রেখে এমন একটি বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটায় জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে ।